ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ জুন। প্রতিদিনের মতো সেদিন সকালেও প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সালমানের বাবা সেলিম খান। সকালে হাঁটাহাঁটির মধ্যে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বেঞ্চে বসে ছিলেন। তখনই কোনো অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কাছ থেকে উড়ো চিঠি পান সেলিম। সেই চিঠিতে তাঁকে এবং তাঁর ছেলে সালমানকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পরপরই সেলিম খান বান্দ্রা পুলিশস্টেশনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করে মুম্বাই পুলিশ। বেরিয়ে আসে অভিনেতাকে হুমকির পেছনে আছেন তাঁর ‘পুরোনো শত্রু’ লরেন্স বিষ্ণোই।
জানা যায়, শুধু হুমকি দিয়েই শেষ নয়, সালমানকে হত্যা করতে দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার রাইফেলও কিনেছিলেন অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোই। ‘দাবাং’ তারকাকে হত্যা করতে এক ভাড়াটে খুনি দিনের পর দিন তাঁর বাড়ির সামনে ওত পেতে বসে ছিল। নেহাতই ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার পর থেকেই নিজের গতিবিধি সীমিত করেছেন সালমান। এখানেই শেষ নয় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশের কাছে অস্ত্র রাখার আবেদন করেন অভিনেতা।
২২ জুলাই এ জন্য মুম্বাই পুলিশ কমিশনার বিবেক পানসলকরের সঙ্গে দেখা করেন সালমান। এবার জানা গেল, নিরাপত্তার স্বার্থে বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করছেন অভিনেতা। সালমান মূলত যাতায়াতের জন্য টয়োটা ও ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি ব্যবহার করেন। গত কয়েক দিনে অভিনেতার ভক্ত ও পাপারাজ্জিদের তোলা ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম বলেছে, নিজের পুরোনো গাড়িতে বুলেটপ্রুফ বর্ম ও কাচ লাগিয়েছেন সালমান। তবে সালমান সত্যি সত্যি এখন বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করছেন কি না, তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অভিনেতাকে সর্বেশেষ প্রকাশ্যে দেখা যায় ২৫ জুলাই। সেদিন মুম্বাইতে নিজের প্রযোজিত ছবি ‘বিক্রান্ত রোনা’র প্রচারণায় হাজির হয়েছিলেন তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..