ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কী—ক্রিকেট–বিশ্বে এখন এটাই সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন। কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম ও রবি শাস্ত্রী ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভারতের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, এখন আর তিনি ওয়ানডে ক্রিকেট দেখে রোমাঞ্চ অনুভব করেন না।
ওয়াসিম আকরাম তো এও বলেন, ওয়ানডে ক্রিকেট এখন ঠেলেঠুলে চলছে। শাস্ত্রীর কথা, টেস্ট ও টি–টোয়েন্টির চাপে পিষ্ট হচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট। ওয়াসিম, শাস্ত্রী ও অশ্বিনের এমন মন্তব্যের পরই উঠেছে আলোচনার ঝড়। শাস্ত্রী অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার একটি পরামর্শ এর আগে দিয়েছিলেন—বিশ্বকাপের ওপর আরও বেশি জোর দিতে হবে, বিশ্বকাপকে করে তুলতে হবে আরও আকর্ষণীয়।
ওয়ানডে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শহীদ আফ্রিদিও একটি পরামর্শ আগেই দিয়েছেন—ওয়ানডে ক্রিকেটটা ৫০ ওভারের জায়গায় ৪০ ওভারে নামিয়ে আনা যায়। বেন স্টোকসের ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সামা টিভির সঙ্গে সম্প্রতি এ কথা বলেন আফ্রিদি। সেখানেই তিনি এমন পরামর্শ দেন।
আফ্রিদির কথা, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটটা এখন অনেকটাই একঘেয়ে হয়ে গেছে। আমি তো বলব ওয়ানডে ক্রিকেটটা ৫০ ওভার থেকে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনতে। এতে এটা আরও আকর্ষণীয় ও বিনোদনদায়ী হবে।’
আফ্রিদির এ কথার সঙ্গে এবার কণ্ঠ মিলিয়েছেন শাস্ত্রী। ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে চলার সময় ধারাভাষ্য দেওয়ার এক ফাঁকে শাস্ত্রী বলেন, ‘ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনলে কোনো ক্ষতি নেই। ওয়ানডে ক্রিকেট যখন শুরু হয়, তখন এটি ছিল ৬০ ওভারের। আমরা ১৯৮৩ সালে যখন বিশ্বকাপ জিতি, তখনও ৬০ ওভারের ছিল ওয়ানডে ক্রিকেট।’
৬০ ওভার থেকে ওয়ানডে ক্রিকেট ৫০ ওভারে নামিয়ে আনার বিষয় নিয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘কর্মকর্তারা ভাবলেন, ৬০ ওভার একটু লম্বা সময়ই। দেখা গেল, ২০ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত সময়টা একটু একঘেয়ে। এ কারণে সেটা তাঁরা ৬০ থেকে ৫০ ওভারে নামিয়ে আনেন। এরপর তো অনেক বছর হয়ে গেল। এখন কেন এটাকে ৫০ থেকে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনা যাবে না!’
এ জাতীয় আরো খবর..