রান খরা কাটছে না। সর্বশেষ সেঞ্চুরির সঙ্গে দূরত্বটাও প্রতি ম্যাচে বাড়ছে। যখন বিরাট কোহলির এমন সময় যায়, তখন আলোচনা-সমালোচনাও চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। হচ্ছেও সেটি। ক্রিকেট বিশ্বের খবরে কোহলিকে নিয়েই সাবেক ক্রিকেটারদের মন্তব্য, বিশ্লেষণের ছড়াছড়ি দেখতে পাওয়া যায়।
রিকি পন্টিংও সে দলে যোগ দিলেন। ‘আইসিসি রিভিউ’ অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক কোহলির পাশে দাঁড়ালেন। আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে কোহলিবিহীন দেখতে চান না তিনি। নিজের দিনে কোহলি কী করতে পারেন, সেটি ভেবে হলেও এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে দলে দেখতে চান পন্টিং।
কোহলিকে নিয়ে প্রতিপক্ষের যে ভয়, সেটি কাজে লাগানোর জন্যই পন্টিং তাঁকে ভারত দলে দেখতে চান। পন্টিংয়ের কথা, ‘আমি যদি প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক বা ক্রিকেটার হই, তাহলে আমি কোহলিসহ ভারতীয় দলকে ভয় পাব। কোহলি না থাকলে সে ভয়টা থাকবে না। সময়টা তার জন্য কঠিন। কিন্তু সব বড় ক্রিকেটারই এমন সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, সেটা বোলার হোক কিংবা ব্যাটসম্যান। সেরা ক্রিকেটাররা এসব তলানি থেকেই ঘুরে দাঁড়ায়। বিরাটের জন্যও এটা শুধুই সময়ের ব্যাপার।’
তবে বিরাটের সময় যে ফুরিয়ে এসেছে, সেটিও মানছেন পন্টিং। তিনি বলেছেন, ‘বিরাটকে যদি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং অন্য কেউ এসে ভালো করে, তাহলে বিরাটের ফিরে আসা কঠিন হবে।’ কোহলি বলেই পন্টিং তাঁকে বিশ্বকাপের দলে রাখতে চান, ‘আমি যদি ভারত দলের কেউ হই, তাহলে তাকে খেলিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। কারণ সে ভালো খেললে কী হবে সেটা আমি জানি। যদি তার আত্মবিশ্বাসটা ফিরিয়ে আনা যায়, তাহলে সে যেমন খেলবে সেটা কেউই খেলতে পারবে না।’
এ ক্ষেত্রে ভারতীয় দলের কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের দায়িত্ব নিতে বলছেন পন্টিং। কোহলিকে এ মুহূর্তে যতটা স্বাচ্ছন্দ্যে রাখা যাবে, তত ভালো হবে বলে মনে করেন তিনি। বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই যদি কোহলি জ্বলে ওঠে, তাহলে তাকে থামানো সহজ হবে না, এমনই ধারণা পন্টিংয়ের। তাঁর কথা, ‘যদি প্রথম রাউন্ডে ভালো করে ফেলে, তাহলে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে সেই পুরোনো বিরাট কোহলিকে দেখা যাবে। আমি টুর্নামেন্টের শুরুতেই তাকে স্বাধীনতা দেব। শুরুতে রান পেলে আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। তাহলে হয়তো শেষের দিকে সে তার সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারবে।
এ জাতীয় আরো খবর..