রঞ্জি ট্রফি মাতাচ্ছেন সরফরাজ খান। ভারতের বিখ্যাত এই প্রতিযোগিতায় নিয়মিত রানবন্যা বইয়ে দিচ্ছেন এই তরুণ। এককালে আইপিএলের ম্যাচ খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানো এই তরুণের প্রতি অনেক ভরসা ছিল বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।
সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন সামান্যই। এখন খেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। কিন্তু রঞ্জিতে যে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন, তাতে যেকোনো সময় ভারতের টেস্ট দলে জায়গা হয়ে যেতে পারে এই আগ্রাসী ব্যাটসম্যানের। কিন্তু এমন কী করেছেন এই তরুণ, যাতে ব্যাট হাতে নিজের ভাগ্য এভাবে বদলে গেছে তাঁর? সরফরাজ গুরুত্ব দিয়েছেন ফিটনেসের ওপর।
এককালে খেলতেন নিজের শহর মুম্বাইয়ের রাষ্ট্র দলে। ফর্ম হারিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশে। ফর্ম ফিরে পেয়ে আবারও চলে এসেছেন মুম্বাইয়ে। উঠতি ফর্মের পেছনে ফিটনেসের উন্নতির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন এই তরুণ।
জানিয়েছেন, এই ফিটনেসের পেছনে হাত আছে বিরাট কোহলির, ‘আমি যখন ২০১৫-১৬ মৌসুমে আইপিএল খেলি, তখন আমার ফিটনেস মোটেও ভালো ছিল না। বিরাট কোহলিও আমাকে সেটাই বলেছিলেন। এরপর আমি আমার ফিটনেসে উন্নতি আনি। এরপর আবারও আমার ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু কোহলির পরামর্শে আমি আবারও খাওয়াদাওয়ায় শৃঙ্খলা নিয়ে আসি। গত দুই বছরে ফিটনেসের প্রতি অনেক মনোযোগ দিচ্ছি। শুধু খেলার মৌসুমেই নয়, যখন খেলা থাকে না, আমি তখনো স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিই।’
আগে খাদ্যাভ্যাসের দিকে অত বেশি মনোযোগ দিতেন না সরফরাজ, ‘আগে যখন খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আমাদের কেউ কিছু বলেনি, তখন অনেক কিছুই খেতাম। এখন কোহলির পরামর্শের পর আমরা খাদ্যাভ্যাস নিয়ে অনেক সচেতন। বাসায় আগে প্রতিদিন আমিষজাতীয় খাবার খেতাম। এখন সেসব করি না। এখন বিরিয়ানি বা ভাতজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলি। হয় রবিবারে খাই, না হয় অন্য কোনো অনুষ্ঠানে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তরুণ নিজের টেস্ট খেলার স্বপ্নের কথাটাও তুলে ধরেছেন, ‘প্রতিনিয়ত উন্নতি করার আশা নিয়ে আমি খেলি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আবেগের জায়গা। ভাগ্য ভালো হলে একদিন অবশ্যই ভারতের হয়ে খেলব।’
এ জাতীয় আরো খবর..