পাকিস্তানের অন্যতম বড় প্রদেশ পাঞ্জাবের সংসদে ২০টি আসনে রোববার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে জয় পেয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই। চারটি আসন পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন। বাকি আসনটি পেয়েছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
আর এ উপনির্বাচনে ১৫টি আসনে জয় পাওয়ায় ফের পাঞ্জাবের ক্ষমতায় আসছে ইমরান খানের দল। অন্যদিকে মুসলিম লিগ-নওয়াজ থেকে নির্বাচিত পাঞ্জাবের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হামজা শরীফ প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাবেন। কারণ এখন পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার দল পিটিআইয়ের ২৫ জন আইনপ্রণেতা দলত্যাগ করেন। এরমধ্যে নির্বাচিত ছিলেন ২০ জন। আর বাকিরা ছিলেন সংরক্ষিত আসনের।
এসব সদস্য দলত্যাগ করে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের পক্ষে যায়। এসব দলত্যাগী সদস্যরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের ছেলে হামজা শরীফকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে ভোট দেন। আর এর ফলে হামজা শরীফ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন।
কিন্তু ইমরান খান বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হন। তিনি সংবিধানের অনুচ্ছেদ সামনে এনে জানান, সংবিধান অনুযায়ী যারা দলত্যাগ করে বা দলের বিরুদ্ধে যায় তাদের সদস্যপদ থাকে না। ফলে যেসব সদস্য মুসলিম লিগ নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছে তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে গেছে।
ইমরানের এ আবেদনের পক্ষে রায় দেওয়া হয় এবং পিটিআইয়ের টিকিট নিয়ে নির্বাচিত হওয়া ২০ জন আইনপ্রণেতার সদস্যপদ বাতিল করে দিয়ে উপনির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে গত এপ্রিলেও পাঞ্জাবের ক্ষমতায় ছিল পিটিআই। কিন্তু ইমরান খানের বিরুদ্ধে আস্থা ভোট আয়োজন করায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সর্দার উসমান বুজদার পদত্যাগ করেন। এরপর পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে যাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য নমিনেশন দেওয়া হয় তাকে ভোট না দিয়ে হামজা শরীফকে ভোট দেন ওই সব দলত্যাগী আইনপ্রণেতা।
পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের তারিখও এগিয়ে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র: ডন, হিন্দুস্তান টাইমস, আল জাজিরা
এ জাতীয় আরো খবর..