×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৮
  • ৪৩ বার পঠিত
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে ভারতীয় ভূখণ্ড। ভারত ও নেপালের মধ্যে গত বছর এসংক্রান্ত সমঝোতা হয়েছে। এক দেশের বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে অন্য দেশের গ্রিড সংযোগের বিষয়ে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার মানসিকতায় বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছে ভারত।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুবিধা প্রতিবেশীদেরও পাওয়া উচিত। অর্থনৈতিক সংযোগ সহজ হওয়া সবার জন্যই লাভজনক। ’

আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ সংযোগবিষয়ক নতুন নিয়মের উদাহরণ দিয়ে অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের বিদ্যুৎ গ্রিড ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছি। এটি আমাদেরসহ সবার মনোভাবের অনেক বড় পরিবর্তন। কারণ অন্য কাউকে আমাদের বিদ্যুৎ গ্রিড ব্যবহার করতে দেওয়া আস্থার বহিঃপ্রকাশ। অন্যরা যখন আমাদের বিদ্যুৎ গ্রিড ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে তার অর্থ তাদের ওপর আমাদের আস্থা আছে। কারণ কোনো সমস্যা হলে আমাদের গ্রিড-ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। ’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) কাঠামো অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভুটানকে জলবিদ্যুৎ সরবরাহে একটি সমঝোতা করেছে ভারত ও নেপাল। গত এপ্রিলে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ে এই যৌথ দলিল প্রকাশ করা হয়।

দলিল অনুসারে নেপালে উৎপন্ন জলবিদ্যুৎ প্রতিবেশী দেশগুলোতে সরবরাহ করা হবে। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে ভারত, ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে উপ-আঞ্চলিক বিবিআইএন কাঠামো। এই কাঠামোর আওতায় চার দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। যৌথ দলিল অনুসারে উভয় দেশ একমত হয়েছে, বিদ্যুেক্ষত্রে ব্যাপক প্রকল্প ও সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। উভয় দেশ নেপালে যৌথভাবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করবে এবং সীমান্তপারের অন্য দেশের সঞ্চালন লাইন তৈরি করবে।

দলিলে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য ভারত ও নেপালকে অভিন্ন সুবিধা দেওয়া হবে এবং যে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে সেখানকার স্থানীয় আইন অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। এই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে বিবিআইএন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সনদ অনুসারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রস্তাবিত ‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা)’ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি নিয়ে কারিগরি পর্যায়ে সমীক্ষা চলছে। সেটি শেষ হলে দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে আরো আলোচনা হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat