খোলা বাজারে বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম আবার ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। ব্যাংকেও নগদ ডলারের দাম ১০০ টাকা ছুই ছুই করছে। বর্তমানে ব্যাংকে নগদ ডলার সর্বোচ্চ ৯৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নগদ ডলারের তীব্র সংকট থাকায় দাম বেড়েই যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও নানাভাবে লাগাম টেনেও নগদ ডলারের দাম ধরে রাখতে পারছে না। খোলা বাজারেও সরকারের একাধিক সংস্থা থেকে নজরদারি করা হচ্ছে। তারপরও দাম বেড়েই চলেছে।
রোববার খোলা বাজারে প্রতি ডলার ১০০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২০ পয়সা ধরে বিক্রি হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। তবে কার্ব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা প্রতি ডলার কিনেছেন ৯৯ টাকা দরে। গত বৃহস্পতিবার খোলা বাজারে প্রতি ডলার ৯৯ টাকা ৮০ থেকে ৯০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছিল। রোববার ব্যাংকে ডলারের দাম না বাড়লেও খোলা বাজারে বেড়েছে বাড়তি চাহিদার কারণে।
আগে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে নগদ ডলার নিয়ে আসতেন বেশি। এ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছেও বাড়তি যেসব ডলার থাকত সেগুলো বিক্রি করে দিতেন। এখন ডলারের দাম আরও বাড়বে এমন প্রত্যাশায় অনেকেই ডলার বিক্রি করছেন না। নিজেদের কাছে মজুদ রেখে দিচ্ছেন। যে কারণে ডলারের প্রবাহ কমে গেছে।
এদিকে করোনার পর মানুষের বিদেশ ভ্রমণ ও বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এ কারণে ডলারের চাহিদা বেড়েছে।
ব্যাংকগুলো রোববার নগদ ডলার বিক্রি করেছে সর্বোচ্চ ৯৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে। কিছু ব্যাংক ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা দরেও বিক্রি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদ ডলারের দামে বেশি হস্তক্ষেপ করছে না। তারা শুধু আমদানি, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল কেনার বিষয়টিও বেশি নজরদারি করছে।
এর আগে গত মে মাসে ব্যাংকে নগদ ডলারের দাম ১০০ টাকায় উঠেছিল। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তা কমে আসে। একইসঙ্গে কার্ব মার্কেটেও ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৪ টাকায় উঠেছিল। পরে সরকারি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা বাজারে খোঁজ-খবর নিলে ডলারের দাম কমে ৯৬ টাকায় নেমে যায়। এরপর থেকে ব্যাংক কয়েক দফায় ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে খোলা বাজারেও এর দাম বেড়েছে।
অন্যদিকে ইউরোর দর আরও কমেছে। এতে রপ্তানিকারকরা বেশ দুঃচিন্তায় পড়েছেন। কেননা ইউরোর দর পড়তে থাকলে ওই দেশে পণ্যেও দাম বেড়ে যাবে। ফলে তারা আমদানি কমিয়ে দিতে পারে। গত শনিবার থেকে ইউরোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের নিচে চলে গেছে। আগে ডলার ও ইউরোর দাম সমান ছিল। গত শনিবার এক ডলার দিয়ে ১ দশমিক ০১ ইউরো পাওয়া গেছে।
এদিকে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেট (লাইবর) ইউরোর ক্ষেত্রে শূন্যে নেমে এসেছে। অর্থাৎ ইউরোর প্রতি কারো আগ্রহ না থাকায় অনেকেই তা ছেড়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকও রিজার্ভে থাকা ইউরোর অংশ কমিয়ে ফেলছে।
এ জাতীয় আরো খবর..