সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ। আজ রবিবার বিকেলে নড়াইলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুট, হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত ওই সমাবেশে সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এখনকার ও অতীতের ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাম্প্রদায়িকতাকে লালন পালন করেছে। ক্ষমতার অন্যতম ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ আজ অচেনা। সমাজে সাম্প্রদায়িকতা খুঁটি গেড়ে বসেছে। একে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যক্তি, গোষ্ঠী স্বার্থে, ক্ষমতার স্বার্থে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া এবং ঘটনার সাথে জড়িত ও এর মদতদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
রুহিন হোসেন প্রিন্স আরো বলেন, বেশ কিছু ঘটনায় দেখা গেছে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্টে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে এ ধরনের অপকর্ম সংগঠিত করা হচ্ছে। এসব ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি ও কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা ডা. দিবালোক সিংহ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবি করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ এখনও সব মানুষের বাসযোগ্য হয়নি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নীতিনিষ্ঠ, প্রগতিশীল, বাম গণতান্ত্রিক শক্তির বিকল্প সমাবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এ. এন. রাশেদা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। যে অপশক্তি ও এর মদতদাতারা এর সাথে জড়িত তারা সরকারের সমর্থনেই এ কাজ করছে, এখনও করে চলেছে। তিনি এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা ও জলি তালুকদার। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. সাজেদুল হক রুবেল।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ জাতীয় আরো খবর..