ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৮ লাখ টাকার স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে ভাঙ্গা থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোলাম দস্তগীর বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই পুলিশ সদস্যসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, বুধবার (১৩ জুলাই) বিকালে এএসআই বাবুলসহ ২ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার কামঠানা গ্রামের অজিত বিশ্বাসের পুত্র পাপ্পু বিশ্বাসের যশোর সদর মার্কেটে স্বর্ণের দোকান আছে। তিনি গত ৯ জুলাই রাতে এক বন্ধুর কাছ থেকে ১১টি স্বর্ণের বার বা ১১০ তোলা স্বর্ণ কেনেন। পরে রাত অনুমানিক ১টার সময় বাড়ি ফেরার সময় তার গতিরোধ করেন পুলিশ সদস্য বাবুল। কথার এক পর্যায়ে বাবুল তার কাছে জানতে চান সঙ্গে কী আছে? পরে তিনি জানান, তার কাছে বৈধ ১১টি স্বর্ণের বার আছে।
এ সময় এএসআই বাবুল তাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এটা অবৈধ স্বর্ণ। এরপর তাকে আটক করে জেল হাজতে চালান দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। পরে বাবুল তার ৭টি বার ফেরত দিয়ে ৪টি স্বর্ণের বার নিয়ে যান এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন- তুই দ্রুত এলাকা ত্যাগ করবি। তখন পুলিশের সহকারী হিসাবে থাকা এলাকার মেহেদী হাসান মৃদুল নামের আরেকজন তার মোবাইল নিয়ে যায়। তখন ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী ভয়ে ও আতঙ্কে বাড়ি চলে যান।
এরপর মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দিনগত রাতে ভুক্তভোগী ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজার নিকট বিস্তারিত জানান। তখন ওসি সে বিষয়ে এএসআই বাবুলকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন তিনি। পরে বাবুলের সহকারী মেহেদীকে মুখোমুখি জিজ্ঞেস করলে তিনি স্বীকার করেন। এর পরপরই বাবুলের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ওসি সেলিম রেজা জানান, এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এএসআই বাবুল হোসেন ও তার সোর্স মেহেদী হাসানকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..