মোটরসাইকেলে বিধিনিষেধ থাকায় সাধারণ মানুষ বাস-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি বলে জানিয়েছে সেভ দ্য রোড। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এমন কথা জানায়।
নিরাপদ সড়ক নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটি বলছে, ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে মানুষ গ্রামের বাড়ি গিয়েছে। বিশেষ করে রেলওয়েতে ছিল চরম অব্যবস্থাপনা।
টিকিট কিনেও হাজার হাজার যাত্রীকে রেলওয়ের ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে। একইভাবে বাস সার্ভিসে ছাদ এমনকি মোড়া-বালতিবাহী হয়ে বাড়িতে ফিরেছে অসংখ্য যাত্রী। নির্মম জিম্মিদশায় বেহাল হয়েছে তাদের অর্থনৈতিক ও শারীরিক অবস্থা। ছিল লাইসেন্সবিহীন অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহনের ঘটনাও।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদের আগের দুই দিন থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে এমন দৃশ্য দেখেছে।
ঈদ শেষে রাজধানী ফিরতি মানুষদের যেন ভোগান্তিতে না পড়তে হয় সে জন্য পদক্ষেপ নিতে জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে বিআরটিসির ডিপোতে থাকা শতাধিক অতিরিক্ত বাস অনতিবিলম্বে কয়েকটি রুটে ভাগ করে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করতে হবে। কোথাও যেন যাত্রীকে জিম্মি করে ঈদের আগের মতো তিন/চার গুণ ভাড়া আদায় করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্কতার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট টিম জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে সক্রিয় রাখতে হবে।
একই সঙ্গে দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশের প্রহরা পাঁচ কিলোমিটার পর পর নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি জানায় সংগঠনটি।
এ জাতীয় আরো খবর..