ক্রিকেটে পাকিস্তান তো চিরকালই অননুমেয় এক দল। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাও অন্য দুই সংস্করনের চেয়ে একটু বেশি অননুমেয়। দৈর্ঘ্য ছোট বলে এখানে দলগুলোর ব্যবধানও কমে আসে কিছুটা। তো সেই টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপে কেমন খেলবে পাকিস্তান? অননুমেয় দলটাকে নিয়ে তাদেরই সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির অনুমান, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সফল হবে তারা।
কেন এমন মনে করছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আফ্রিদি, ‘অস্ট্রেলিয়ায় যে দলটি যাবে, সেই দলে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে। এই যেমন বোলিংয়ের শক্তি, ভালো অলরাউন্ডার আর এর সঙ্গে এমন ক্রিকেটার আছে, যারা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারে।’ পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আফ্রিদি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার উইকেট ভালো। তাই আমি আশা করছি পাকিস্তানের এ দলটি ভালো ফলই উপহার দেবে।’
তবে সাফল্য যে শুধু খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করে না, সেটা মনে করিয়ে দিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট। এরপর আসবে কোচিং। খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে তাদের কীভাবে পরিচালনা করা হবে, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
ইউনিস খানের নেতৃত্বে ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। সেবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে ৮ উইকেটের জয়ে ৪০ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেছিলেন আফ্রিদি। এর আগে বল হাতে ২০ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন তিনি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়েরও পুরস্কার জেতেন আফ্রিদি।
২০০৯ সালের সেই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সাফল্যের রহস্য কী ছিল, সেটাও বলেছেন আফ্রিদি, ‘সিনিয়র খেলোয়াড় আর অধিনায়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কঠিন শুরুর পরও এ কারণেই দল অনুপ্রাণিত ছিল। আমরা সবাই ইউনিস খানকে সমর্থন দিয়ে গেছি। সে-ই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে।’
এ জাতীয় আরো খবর..