×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-২১
  • ৫২ বার পঠিত
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, ডিএসসিসি দীর্ঘ মেয়াদী কাজের অংশ হিসেবে ‘বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন কাজ’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরপর বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিকরণের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি।

সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি আরো জানান, বুড়িগঙ্গা পাড়ে ডিএসসিসি সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃক অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা দূরীকরণে লক্ষ্যে স্বল্প মেয়াদী কাজের অংশ হিসেবে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে পানি প্রবাহ সচল রাখার জন্য ডিএসসিসির নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পলি অপসারণ, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার এবং দুই পার্শ্বে ফেন্সিং স্থাপনের কার্যক্রম চলছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর উপকূলীয় জেলাসমূহের লবণাক্ত প্রবণ এলাকায় লবণাক্ততা দূরীকরণ প্ল্যান্টসহ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং পুকুর খনন ও পুনঃখনন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সৌরচালিত শত স্যান্ড ফিস্টার এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা শতভাগ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের জনবল কাঠামো বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটিতে একটি করে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই পদে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক। বর্তমানে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ প্রয়োজনবোধে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করতে পারবে। যাদের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করতে হবে।

একই দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা ওয়াসা স্টর্ম সুয়ারেজ ও খাল সিটি করপোরেশনে হস্তান্তরের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, প্রকৌশ বিভাগ ও সম্পত্তি বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি খাল থেকে প্রায় ৭১ হাজার ৫৮৪ টন ভাসমান বর্জ্য, প্রায় ১০ হাজার টন মাটি ও স্লাজ অপসারণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ডিএনসিসির সব খালই দখল বা অপদখলের মধ্যে আছে। সম্পত্তি বিভাগ সীমিত জনবল দিয়ে এসব দখলমুক্ত করার বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছে। খালের বর্জ্য অবজারভেশন করার জন্য বিভিন্ন খালে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, ঢাকা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে মহাখালী বাস টার্মিনাল ভেঙে নতুনভাবে পুনর্নিমাণসহ বিআরটি লাইন-৩ এর করিডোর রাস্তা উন্নয়ন কাজ করা হবে।

তিনি আরো জানান, ডিএসসিসি ৩০বছর মেয়াদি ‘ইনট্রিগ্রেটেড সিটি মাস্টার প্ল্যান ফর ঢাকা (২০২০-২০৫০)’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট সিটি তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat