আইপিএল শুরু হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেন থমকে যায়! ভারত আর পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা আর শীতল সম্পর্কের কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এখন আর খেলা হয় না। এ ছাড়া বিশ্বের প্রায় সব দেশের ক্রিকেটারই আইপিএলে খেলেন।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএল। টুর্নামেন্টটির সাবেক চেয়ারম্যান লোলিত মোদি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, একটা সময় আসবে, আইপিএল যখন বিশ্বের ১ নম্বর ও দামি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়ে যাবে।
মোদি যে ভুল কিছু বলেননি, তা বোঝা যায় আইপিএলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সম্প্রচারস্বত্বের মূল্যের বাড়বাড়ন্ত দেখলে। ২০০৮ সালে টুর্নামেন্টের সম্প্রচারস্বত্ব ১০ বছরের জন্য বিক্রি করা হয়েছিল। সেবার দাম উঠেছিল প্রায় ৮০০ কোটি রুপি। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল, দ্বিতীয়বার এই পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি হয় দ্বিগুণের চেয়ে বেশি দামে। আর এবার টুর্নামেন্টটির সম্প্রচারস্বত্ব পাঁচ বছরের জন্য বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি রুপিতে।
শুধু টাকার দিক থেকেই নয়, প্রভাবের দিক থেকেও আইপিএল অনেক এগিয়ে। আইপিএল অনুষ্ঠিত হয় দুই থেকে আড়াই মাস সময় নিয়ে। এই সময়ে খুব বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় না। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দল, যাদের প্রচুর ক্রিকেটার আইপিএলে খেলেন, এই দলগুলো আইপিএল চলাকালে কোনো সিরিজ বলতে গেলে রাখে না।
এ বছর আইপিএল চলাকালে পাকিস্তানের ক্রিকেট সংগঠকসহ সাবেক ক্রিকেটারদের একটি কথা বলতে শোনা গেছে—তাঁদের দেশের পিএসলও আইপিএলের চেয়ে কম কিছু নয়! কিন্তু এটা যে শুধু বলার জন্যই বলা, সেটাই যেন আরেকবার বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের আধিপত্য স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত কেন ছড়ি ঘোরাতে পারছে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আফ্রিদি, ‘এটা আসলে বাজার আর অর্থনীতির ব্যাপার। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট বাজার হচ্ছে ভারত। তারা যেটাই বলে, সেটাই হবে।’
আইপিএলের রমরমা অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি টুইট করেছিলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচের মূল্য বিচার করলে আইপিএল এখন বিশ্বের দ্বিতীয় মূল্যবান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
এ জাতীয় আরো খবর..