সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আজ সোমবার বন্যাকবলিত দুর্গম এলাকায় পানিবন্দি মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বেল-২১২, এমআই-১৭ এবং এল-৪১০ পরিবহন বিমানের মাধ্যমে সিলেট ও সুনামগঞ্জের দুর্গম অঞ্চলে পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো হয়। একই দিনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিমান বাহিনীর একটি এ ডব্লিউ-১৩৯ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সিলেট, সুনামগঞ্জ অঞ্চলে যান।
বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার-এ আয়োজিত একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. শফিকুল আলম সিলেটের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে বিমান বাহিনীর চলমান কার্যক্রম ও পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
এই সংকটাপন্ন অবস্থায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিমান বাহিনীর জন্মলগ্ন থেকেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ও দুর্গত মানুষদের সহায়তায় এ বাহিনী সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৮ এবং ২০১৭ সালের বন্যাসহ ২০০৭ সালে সৃষ্ট সিডর এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে বিমান বাহিনী দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসমূহ উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। এছাড়াও সিলেট বিমান বন্দরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি সাপেক্ষে বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানগুলো ত্রাণ তৎপরতায় অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
জানা যায়, সংক্ষিপ্ত সময়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মৌলভীবাজারে অবস্থিত বিমান বাহিনী স্টেশন শমসেরনগরে দুইটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটিতে টাস্কফোর্স ও মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে যারা প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যাকালীন সাহায্য করতে সক্ষম হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..