সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি উড়োজাহাজ ওঠানামার জন্য দ্রুতই খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তবে অ্যাপ্রোচ এলাকার বাতিতে কোনো সমস্যা না থাকলে এবং আর যদি বৃষ্টিপাত না হয়, বন্যার পানি আর না বাড়লেই বন্দরটি খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান প্রতীমন্ত্রী।
যাত্রী ও এয়ারক্রাফটের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জনান তিনি।
চলমান বন্যায় বিমানবন্দরের অবস্থা ও আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে বিমানবন্দরের প্রস্তুতি সরেজমিনে দেখার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সোমবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বিমানবন্দরের রানওয়ে, অ্যাপ্রোচ এরিয়া ও টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দুপুরে সিলেট যান। পরিদর্শনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালন ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর সাদেকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোচ এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও এই মুহূর্তে বিমান চলাচল শুরু করা যাবে না। অ্যাপ্রোচ এলাকার বাতিগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা পরীক্ষা করতে হবে। সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের একটি টিম ইতিমধ্যে সিলেট বিমানবন্দরে এসেছে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য।
চলমান বন্যার কারণে রানওয়ে সংলগ্ন অ্যাপ্রোচ লাইট এলাকায় পানি উঠে যাওয়ার কারণে ১৭ জুন থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের পাশাপাশি সিলেট-লন্ডন আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় এই বিমানবন্দর থেকে।
এ জাতীয় আরো খবর..