স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, খরস্রোতা আমাজন নদীর ওপর কেউ সেতু করার সাহস না করলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব উপলক্ষে মাদারীপুরে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদ্মা সেতু করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছেন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তাঁর দৃঢ়চেতা মনোবল এবং অসীম সাহসীকতায় পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
এই সেতু আমাদের গর্বের ও আহংকারের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ১০-১৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিশাল এই জনসভায় আগত মানুষদের নিরাপত্তা এবং সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনসহ সব ধরনের সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ অন্যান্য দপ্তর দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জনসভায় উপস্থিত মানুষের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সাবমার্সিবল পাম্পসহ দুটি উৎপাদন নলকূপ স্থাপন, ১২টি জলাধার স্থাপনের মাধ্যমে পাঁচ শটি ট্যাপের মাধ্যমে চলমান পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্থাপন করবে।
এ ছাড়া গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য ৬০ হাজার বোতল পানি, ২০টি ভিআইপি টয়লেট এবং জনসাধারণের জন্য চলমান পানিসহ পাঁচ শ টয়লেট স্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আরেক দপ্তর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ তৈরি হবে। এর ফলে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, সারা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ বলেও জানান তিনি।
এ সময় জাতীয় সংসদের নুর-ই-আলম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..