পদ্মা সেতুর ঝলমলে আলো জনগণের কোনো কাজে আসবে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের মানুষের সুচিকিৎসা-শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে পদ্মা সেতু দিয়ে কী করবে? গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা ও চিকিৎসাব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসা-শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে পদ্মা সেতুর ঝলমলে আলো জনগণের কোনো কাজে আসবে না।
আজ বুধবার (১৫ জুন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এত টাকা বাজেট দিয়েছে অথচ স্বাস্থ্য খাতে বাজেট আগের মতো।
গত বছর যা ছিল এবারও তা-ই। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেবেন না, বানাবেন পদ্মা সেতু। স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি পাবে না। এমনিতেই স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস করে ফেলেছেন। এগুলো থেকে বোঝা যায় আপনি জনগণের সরকার নয়। আপনি তো দিনের ভোট রাতে করে সরকার হয়েছেন। জোর করে ক্ষমতায় বসে আছেন।
তিনি বলেন, অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে বাজেট দেওয়া হয়েছে মুদ্রাস্ফীতি যে হারে বাড়ছে এতে দেশের উদ্যোক্তা বাড়বে না। যেভাবে অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে, দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, যদিও করোনার আগে থেকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বেকারত্বের হার বাংলাদেশে বেশি। এই অবস্থায় বেকারত্বের সংখ্যা আরো বাড়বে।
কুমিল্লা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকাল থেকেই অনলাইনগুলোতে দেখলাম বিভিন্ন বুথে পাতলা কাপড় দেওয়া হয়েছে। যাতে বাইরে থেকে দেখা যায় কে কোথায় ভোট দিল। নৌকা মার্কা ছাড়া অন্য কোথাও ভোট দিলে বাইরে এসে থ্রেট দেবে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন কেমন হবে? এ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যা বলে দেবেন সে-ই জিতে যাবে। কোন কোন জায়গা থেকে কাকে জিততে হবে তিনি বলে দেবেন আর নির্বাচন কমিশন তা-ই করবে।
পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম মারুফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সহ-প্রচার সম্পাদক শামিমুর রহমান শামিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শাহজান মিয়া সম্রাট, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, অ্যাবের নেতা কৃষিবিদ ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..