মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নবিজির বিরদ্ধে কোনো ধরনের কটূক্তি ও বিরূপ মন্তব্য একজন মুসলিম হিসেবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই।
কিন্তু বৈদেশিক কোনো ইস্যুকে নিয়ে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা সরকার কঠোর হাতে দমন করবে। আমরা আমাদের প্রাণের ধর্ম ইসলাম তো বটেই কোনো ধর্মের অবমাননাই বরদাশত করব না।
ড. হাসান মাহমুদ আরো বলেন, ইসলামের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা যা করেছেন তা ইতিপূর্বে কোনো সরকার প্রধান করেননি।
তিনি শুক্রবার মহানবী (সা.)'র অবমাননার প্রতিবাদ মিছিল থেকে গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থলে হামলা চালিয়ে ব্যানার, চেয়ারসহ ভাঙচুর চালানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের ইন্ধনদাতাদেরও খুঁজে বের করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে। সকলে এটা মেনে নিলেও বিএনপি মানতে নারাজ। বিশেষ করে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন দাবি করছেন বেগম খালেদা জিয়া নাকি এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে তিনি উল্টা পাল্টা কথা বলছেন-যা চরম মিথ্যাচার।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখোয়াত হোসেন শফিক, সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, হোসনে আক্তার লুৎফা ডালিয়া, অ্যাড. সফুরা বেগম রুমি, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর..