×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-০৯
  • ৮৭ বার পঠিত
কর্মহীন যুবকদের জন্য বেকারভাতা, আত্ম-কর্মসংস্থানে রাষ্ট্রীয় সহায়তা, করোনাকালীন কর্মহীন হয়ে পড়া ও আত্ম-কর্মসংস্থানে নিয়োজিত ক্ষতিগ্রস্ত যুবকদের প্রণোদনা, করোনাকালীন প্রবাস ফেরত যুবদের প্রবাসে কর্মে ফিরে যাওয়া, সরকারি শূন্যপদে সরাসারি নিয়োগসহ ৯দফা দাবি বাস্তবায়নে বাজেটে কর্মসংস্থান কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আয়োজিত জাতীয় যুব সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, যুব নেতা গোলাম রাব্বী খান, চৌধুরী জোসেন, অজিত বিশ্বাস, সাজেদুর রহমান ঝিলা, জাহাঙ্গীর হোসেন, ফাতেমা আক্তার মার্টিন, আশিকুল ইসলাম জুয়েল প্রমূখ।

সমাবেশে যুব নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫১ বছর উদযাপিত হচ্ছে।

আজও দেশের এক কোটি ১০ লক্ষ প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক, ২ কোটি ৩০ লক্ষ কৃষি শ্রমিক এবং আরো প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ অন্যান্য পেশার শ্রমজীবী মানুষের কারো জন্যই, রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক, সামাজিক বা স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত হয়নি। বর্তমানে যে প্রবৃদ্ধি তা কর্মসংস্থানবান্ধব নয়। লাখ লাখ যুবক বর্তমানে চাকরি হারা, বেকার ও প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে ব্যবসায় বাণিজ্যে সংযুক্ত হতে পারছে না। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আগামী বাজেটসহ পরবর্তী বাজেটগুলোতে সুস্পষ্ট নজরদারি থাকা উচিত।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদেশেও আমাদের কর্মসংস্থান বর্তমানে কাঙ্খিত হারে বাড়ছে না। মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া কর্মী নিয়োগের সুযোগ তৈরি হলেও এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছি। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেসরকারি বিনিয়োগের প্রতি জোর দিতে হবে। এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ব্যবস্থার তদারকি বাড়াতে হবে। ব্যাংকের কৃত্রিম আয় বন্ধ করে বিনিয়োগ আদায়ের হার বাড়াতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রতিবছর দেশের অভ্যন্তরে ১৮.৪ লাখ এবং বৈদেশিক কর্মে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করতে হবে।

সমাবেশে উত্থাপিত ৯ দফায় বলা হয়, কর্মহীন যুবদের জন্য বেকার ভাতা চালু, আত্ম-কর্মসংস্থানে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দেওয়া, করোনাকালীন কর্মহীন হয়ে পড়া ও আত্ম-কর্মসংস্থানে নিয়োজিত ক্ষতিগ্রস্ত যুবকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রণোদনা দেওয়া, সরকারি শূন্যপদে সরাসরি নিয়োগ-আউটসোর্সিং কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করা, ঘুষ ছাড়া চাকরি-আবেদনে ব্যাংক ড্রাফট-পেঅর্ডার নেওয়া বন্ধ করা, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়োগ পরীক্ষা বিভাগীয় সদরে নেওয়া, কর্মসংস্থান ব্যাংকের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সহজ শর্তে যুবদের ঋণ দেওয়া, জাতীয় বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দেওয়া, কর্মপ্রত্যাশীদের জন্য অনলাইন নিবন্ধন কেন্দ্র চালু ও সেইসব যুবদের এক বছরের মধ্যে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।

সমাবেশ শেষে সংসদ অভিমুখে একটি মিছিল হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের বাধায় মিছিলটি এলিফ্যান্ট রোডে গিয়ে শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat