স্বাধীনবাংলা, বিশেষ প্রতিনিধি:
হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে ঢাকায় শেষবারের মতো দেখতে ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতাল থেকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদে আল্লামা শফীর মরদেহ আনা হয়। সেখানে সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ আলেমকে শেষবারের মতো দেখতে হাজারও মানুষ জড়ো হয়েছে। একনজর দেখার জন্য মাদ্রাসা মাঠে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাদের। চোখের পানিতে বিদায় জানাচ্ছেন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হওয়া এ আলেমকে।
আলেমরা বলছেন, আল্লামা শফীর শূন্যতা পূরণ হবার নয়। তার মৃত্যুতে একটি শতাব্দীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ দুপুর দুইটায় প্রিয় প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আল্লামা শফী পাঁচ সন্তানের জনক। দুই ছেলে তিন মেয়ে। বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ, ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানি। আল্লামা শফী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামে একটি ধর্মীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন আহমদ শফী। এরপর থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে তিনি ওই পদে ছিলেন। লেখালেখিতেও রয়েছে তার রয়েছে বিশেষ অবদান। বাংলা ও উর্দু ভাষায় তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৫টি।
জীবনের শেষ দিনগুলোতেও আল্লামা আহমদ শফী করোনা সংকট, বিশ্ব পরিস্থিতি, ইসরাইল-আরব আমিরাত চুক্তিসহ নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত বিবৃতি ও দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে দেশ ও জাতি ও সরকারকে সতর্ক করে আসছিলেন।