চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে টিকিট থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তারক্ষীদের বাধায় স্তাদ দো ফ্রান্স স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারেননি অনেকে।
তাঁদের টিকিটের দাম ‘যত দ্রুত সম্ভব’ ফেরত দেওয়ার দাবি করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ।
প্যারিসের এই ফাইনাল ম্যাচ দেখতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়া সমর্থকদের কাছে কাল ক্ষমা চেয়েছে উয়েফা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে কাল সাক্ষাৎকারেই উয়েফার কাছে টিকিটের দাম ফেরত দিতে বলেন মাখোঁ, ‘টাকা দিয়ে টিকিট কিনেও যাঁরা ফাইনাল দেখতে পারেননি, যাঁদের পরিবার হেনস্তার শিকার হয়েছে, তাঁদের জন্য খারাপ লাগছে। এ কারণে আমি আশা করি, খুব দ্রুতই তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
গত ২৮ মে নির্ধারিত সময়ের ৩৮ মিনিট দেরিতে শুরু হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, সমর্থকদের ঢুকতে দেরি হচ্ছে বলে খেলা পেছানো হয়েছে। কিন্তু সংবাদকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কর্তৃপক্ষের গাফিলতি সমর্থকদের ভোগান্তির কারণ। টিকিট থাকা সত্ত্বেও অনেক সমর্থক সেদিন মাঠে ঢুকতে পারেননি।
প্যারিসের অনেক স্থানীয় মানুষ টিকিট ছিনতাই করেছেন। ঝামেলার একপর্যায়ে নিরীহ সমর্থকদের ওপর পেপার স্প্রে নিক্ষেপ করে প্যারিসের পুলিশ।
ফাইনালে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারানো রিয়াল মাদ্রিদ কাল সমর্থকদের ভোগান্তির ব্যাখ্যা চেয়েছে। লিভারপুল সরব ছিল আগে থেকেই। এমানুয়েল মাখোঁ জানান, তিনি নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন, ‘আমাদের ব্রিটিশ ও স্প্যানিশ বন্ধুদের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে এবং তাদের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালনে কী ঘটছে, তা জানতে চেয়েছি সরকারের কাছে।’
লিভারপুলের প্রধান নির্বাহী বিলি হগান ফাইনালে সমর্থকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার তদন্ত করার দাবি করেন কাল। রিয়ালের বিবৃতিতে বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা হয়। সেদিন কী ঘটেছিল, সমর্থকেরা অরক্ষিত হয়ে পড়ার জন্য দায়ী কে, ফাইনালে ভেন্যু নির্ধারণের পেছনে কী কী যুক্তি ভূমিকা রেখেছে, এসব জানানোর দাবি করেছে রিয়াল।
এ জাতীয় আরো খবর..