নির্বাচন সামনে রেখে দেশে বিদেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও দলের প্রবীণ নেতাদের যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। বুধবার রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মশিউর রহমান, রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু, কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ জমির, খন্দকার গোলাম মওলা নকশবন্দী, খন্দকার বজলুল হক, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, রশিদুল আলম, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু প্রমুখ।
বৈঠক শেষে গণভবন থেকে বেড়িয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে, সেটা আলোচনা হয়েছে। ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে আমাদের সংগঠন নিয়ে। তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। অনেক ষড়যন্ত্র হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- তারা যেন সতর্কতার সাথে গঠনমূলকভাবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে। আমরা প্রায় ৫ ঘণ্টা আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছি। ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অনেকেই রাজনীতির মাঠে এখন লাশ চায়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যারা মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। নেত্রীও (শেখ হাসিনা) অক্ষুণ্ন মনযোগে উপদেষ্টাদের বক্তব্য শুনেছেন। ১৭ জনের মতো নেতা বক্তব্য রেখেছেন। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, আগামী নির্বাচন ও জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে তারা তাদের মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। সংগঠনকে জোরদার করার কথা বলেছেন। এসব বিষয়ে তারা কথা বলেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে ষড়যন্ত্র আছে। গভীর ষড়যন্ত্র আছে। যে কারণে আজকে আমাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এই কথাটা আজকে সবচেয়ে বেশি উচ্চরিত হয়েছে। সতর্ক থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে।
ছাত্রলীগকে মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেত্রী বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে হবে। মারামারি, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, এসব বিষয়ে তিনি বলেছেন, এগুলোর আমাদের কোনো দরকার নেই। তবে কেউ যদি আন্দোলনের নামে সহিংতার উপাদান যুক্ত করে তাহলে সে অবস্থায় আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে তারা এলে আমরা রাজনৈতিকভাবে সেটা মোকাবিলা করবো। আর তারা সহিংসতা করে তাহলে উদ্ভত পরিস্থিতিতে যা করনীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই ব্যবস্থা নেবে।
এ জাতীয় আরো খবর..