বাংলাদেশ ফিশ ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হামিদুল হক বলেছেন, মাছের অধিক মূল্যেও খামারির লাভ বাড়েনি। তারা পাইকারিতে আগের দামেই বিক্রি করছে, এখন লাভবান হচ্ছে মূলত মধ্যস্বত্বভোগীরা। কিন্তু অধিক খরচে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামিদুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন দুটি শ্রেণি ঠকছে―তার মধ্যে একটি হচ্ছে উৎপাদক, আরেকটি হচ্ছে ভোক্তা। মূলত লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। ’
বাংলাদেশ ফিশ ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হামিদুল হক।
বাংলাদেশ ফিশ ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাছের খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, এখন আবার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচ ৩০-৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে স্বাভাবিকভাবেই মাছের দাম বেড়ে গেছে। তবে এই দাম বৃদ্ধিতে খামারিরা লাভবান হচ্ছে না, তারা আগে যে দাম পেত এখনো একই দাম পাচ্ছে। এখন লাভবান হচ্ছে বেশি মধ্যস্বত্বভোগীরা। ’
হামিদুল হক আরো বলেন, ‘এখন খামারি পর্যায়ে পাইকারিতে মাঝারি সাইজের (এক থেকে দুই কেজি ওজনের) পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। বড় সাইজের পাঙ্গাশ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। তেলাপিয়া তিনটা এক কেজি ওজনের বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়, বড় সাইজের তেলাপিয়া ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় খামারি পর্যায়ে মাছ বিক্রিতে এখন তেমন লাভ নেই। ’
এদিকে খামারিদের কাছ থেকে মাছ কিনে মধ্যস্বত্বভোগীরা অধিক লাভ করায় বাজারে এখন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের নির্ভরতার তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছও এখন তাদের পাত থেকে উঠে গেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে আজ বৃহস্পতিবার মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। শুধু তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশই নয়, বাজারে এখন সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি। কিছুদিন আগেও যেসব নলা রুই মাছ ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেগুলো কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। মাঝারি আকারের রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষ করা কই মাছ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়।
এ জাতীয় আরো খবর..