ওয়েস্ট সফরে সেন্ট লুসিয়ায় চার দিনের ম্যাচে স্বাগতিকদের ‘এ’ দলের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভালো করতে পারেনি মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
কাল দ্বিতীয় দিনে মোট ৬০.৫ ওভারে অলআউট হয়েছে ১৬৭ রানে। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৬৫ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের প্রথম ইনিংস থেকে মাত্র ২ রানে পিছিয়ে থেকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকেরা।
৪৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৫ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৭৯ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থেকে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অধিনায়ক মিঠুন। অন্য প্রান্তে ৪৫ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম হাসান।
এরপর কাল দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৭.৫ ওভার টিকেছে সফরকারিদের ইনিংস। এ সময়ের মধ্যে বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। মিঠুন দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৬ বল খেলতে পেরেছেন। আগের দিন নিজের স্কোরের সঙ্গে ৮ রান যোগ করে অর্ধশতক তুলে নিয়ে আউট হন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের এই অধিনায়ক।
নাঈমও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ১৫টি বল খেলে আরও ৪ রান যোগ করে আউট হন। ৬০ বলে ২৭ রান করে নাঈম আউট হওয়ার পর লড়াই করার চেষ্টা করেন রেজাউর রহমান ও এনামুল হক। ৪৫ বলে ১৩ রান করেন রেজাউর। ২ রান করা এনামুল ৩৯টি বল খেলে দৃঢ়তা দেখান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের পেসার মারকুইনো মাইন্ডলে ৫৯ রানে ৫ উইকেট নেন। ৩ উইকেট আরেক পেসার জাস্টিন গ্রিভসের। তবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ২৭টি ‘এক্সট্রা’ না পেলে সংগ্রহ আরও কম হতো। এর মধ্যে ১০টি ওয়াইড ও ১টি নো বল করেন স্বাগতিক বোলাররা।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের সবাই উইকেটে এসে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি শিবনারায়ন চন্দরপলের ছেলে ত্যাগনারায়ন চন্দরপল ওপেন করতে নেমে ১২০ বলে ৪৮ রান করে রানআউট হন।
৯৮ বলে ৩২ রান করেন আরেক ওপেনার জেরেমি সোলোজানো। ৬৩ বলে ৩৭ রান করেন কেসি কার্টি। রেজাউর ও নাঈম ১টি করে উইকেট নেন।
এ জাতীয় আরো খবর..