মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ হাসিনা সব ধর্মাবলম্বীদের নিরাপদ আশ্রয়। শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন করে বলেছেন সব ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে। এক সময় সংবিধানের ৩৮নং অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি শুরু করে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা ধর্মনিরপেক্ষতা পুনরায় স্থাপন করেছেন।
এখন সব ধর্মের মানুষ ধর্ম পালন করতে পারছে।
আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা হচ্ছেন সেই নেত্রী যিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা দিয়ে তাদের শান্তিতে রাখার জন্য সব কিছু করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি যাতে বেহাত না হয় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ধর্ম কখনোই মানুষের মাঝে বিভাজন করে না। কোনো ধর্মের মানুষই কারও জন্য ক্ষতিকর নয়। '৭১ সালে কিছু রাজাকার, কিছু দুষ্কৃতিকারী, কিছু সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি হিন্দু সম্প্রদায়সহ যারা আওয়ামী লীগ করতেন তাদের ওপর আঘাত হেনেছে। '৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে সেই রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে রায় কার্যকর করেছেন। এখন আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশে বসবাস করছি। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির শেষ আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা।
নাজিরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল মামুন, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মুস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার ফেরদৌস, নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্জন কান্তি বিশ্বাস, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসানসহ নাজিরপুরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..