জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। এর আগে গত ২৮ জুলাই স্থায়ী মিশনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত হচ্ছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের ষষ্ঠদশ স্থায়ী প্রতিনিধি। বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের পূর্বে তিনি অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরিচয়পত্র পেশের পর জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির একটি সংক্ষিপ্ত সৌজন্যমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশকে জাতিসংঘের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ একটি সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ এবং মহাসচিবের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টাসমূহের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত মুহিত ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগদান করেন। সূদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য চাকুরি জীবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং কুয়েত, রোম, দোহা, ওয়াশিংটন ডিসি, কোপেনহেগেন ও ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেন।
অস্ট্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি ডেনমার্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসিতে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন, মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট কোর্টনে এবং পিসবিল্ডিং সাপোর্ট বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এলিজাবেথ ম্যারি।
এ জাতীয় আরো খবর..