একটি স্বার্থান্বেষী মহল জ্বালানি তেলের মজুদ নিয়ে অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার করছে, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অথচ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন কম্পানিসমূহের ডিপোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে। বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই। সংকটের কোনো আশঙ্কাও নেই।
ইতোমধ্যে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রয়োজনীয় তেল আমদানির প্রক্রিয়া পাইপলাইনে আছে।
আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের ডিজেল বর্তমানে মজুদ রয়েছে ৪৩১,৮৩৫ মেট্রিক টন। দৈনিক গড় বিক্রয় ১৩,৬০৭ মেট্রিক টন হিসেবে ৩২ দিনের; জেট-এ-১ মজুদ রয়েছে ৪৪ দিনের ও ফার্নেস অয়েল মজুদ রয়েছে ৩২ দিনের। অর্থাৎ আমাদের মজুদ সক্ষমতা অনুসারে যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে।
জুলাই ২০২২ মাসে ৯টি জাহাজ থেকে ইতোমধ্যে ২৫৫,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল, ২টি জাহাজে প্রায় ৪৩,০০০ মেট্রিক টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজ থেকে ২৪,৬৭৭ মেট্রিক টন অকটেন এবং ২টি জাহাজ থেকে ৫৩,৩৫৮ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল গ্রহণ করা হয়েছে।
আগস্ট ২০২২ মাসে ৮টি জাহাজে ২১৮,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল, ১টি জাহাজে ২৫,০০০ মেট্রিক টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজে থেকে ২৫,০০০ মেট্রিক টন অকটেন আসবে।
আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনানুসারে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে আসবে। এর ৫০ ভাগ জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ ভাগ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহকৃত জ্বালানি তেল ব্যবহারে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..