×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-২৮
  • ৭৫ বার পঠিত
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দুই দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার বাস আসছে রাজধানী ঢাকায়। পদ্মা সেতু হয়ে কম সময়ে ঢাকায় আসতে পেরে বাসচালক, কন্ডাক্টর ও যাত্রীদের মধ্যে বিপুল আনন্দ দেখা গেছে। তবে বাস রাখতে গিয়ে ঝামেলায় পড়ছেন চালকরা। ঢাকায় আসার রুট পারমিট থাকা বাস তো আসছেই।

রুট পারমিট নেই, এমন বাসও আসছে ঢাকায়। ফলে যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় তীব্র যানজট হচ্ছে। গতকাল সোমবার যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকায় ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এ অবস্থায় পরিবহন শ্রমিকদের দাবি, রাজধানীর বাইরে একটি বাস টার্মিনাল করার। এ ক্ষেত্রে কেরানীগঞ্জে করলে দক্ষিণবঙ্গের বাসচালক, শ্রমিকদের জন্য সুবিধা হবে। রাজধানীর যানজটও কমবে। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, কেরানীগঞ্জে একটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গ থেকে অনেক বাসের ঢাকায় আসার রুট পারমিশন রয়েছে। সেই গাড়িগুলো ডিএমপিতে ঢুকতে দেওয়া হবে। আর যেগুলোর রুট পারমিট নেই তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। ’

যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে : এত দিন গুনগুন পরিবহনের বাস চলত ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত। এখন তারা ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত যাচ্ছে। গতকাল বিকেলে গুনগুন পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৭৭৩০) ভাঙ্গা থেকে যাত্রী নিয়ে যাত্রাবাড়ীতে আসে। চালক মো. মিঠু জানালেন, তাঁদের এখন ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলার যাত্রী নিয়ে তাঁরা ভাঙ্গায় যান। সেখান থেকে যাত্রীরা যাঁর যাঁর গন্তব্যে যাচ্ছেন। তিনি জানান, পদ্মা সেতুতে একবার যেতে দুই হাজার ৪০০ টাকা, আসতে দুই হাজার ৪০০ টাকা টোল দিতে হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়াও বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। আগে মাওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে ৭০ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। এখন ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা থেকে মাওয়া যাতায়াতকারী একাধিক বাসের চালক ও সহকারীরা (হেলপার) জানান, গাড়িগুলো যদি খুলনা, বরিশাল, শরীয়তপুর, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার অনুমোদন না দেওয়া হয়, তাহলে লোকসান হবে। যাত্রী না থাকলেও পদ্মা সেতু হয়ে গিয়ে ফিরে আসতে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ হবে।

বাসচালক ও সহকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা বিভিন্ন জেলা থেকে বাস নিয়ে ঢাকায় এসে বাস রাখতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। খুলনার এক বাসচালক জানান, তাঁরা খুলনা থেকে এসে সায়েদাবাদ টার্মিনালে যাচ্ছিলেন, কিন্তু পুলিশ বাসটি যাত্রাবাড়ী মোড়ে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এরপর তাঁরা যাত্রাবাড়ী থেকে পোস্তগোলার দিকে যাওয়া ফ্লাইভারের পাশে বাসটি দাঁড় করান। গতকাল দুপুরে এভাবে একের পর এক বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় ওই এলাকায় যানজট দেখা দেয়। যাত্রাবাড়ীতে দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক সার্জেন্ট মামুন জানান, যাদের রুট পারমিট নেই তারা আসছে না। বিভিন্ন জেলার লোকাল বাসকেও আসতে দেখা গেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু মাত্র উদ্বোধন হলো। সব কিছু ঠিকঠাক হতে একটু সময় লাগবে। ’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat