×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৭
  • ১৭ বার পঠিত
দেশে শ্রীলঙ্কার মতো বড় বড় প্রকল্প করে বড় ধরনের লুটপাট চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম নামে বিএনপিপন্থী একটি সংগঠন। প্রয়াত অধ্যাপক এমাজউদ্দীনকে স্মরণ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীনকে হারিয়ে গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তি তাদের অভিভাবককে হারিয়েছে।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, প্রয়াত এমাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ছেলে জিয়া আহমেদ, তাঁতী দলের সদস্যসচিব কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গ টেনে ড. মোশাররফ বলেন, আজকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট শ্রীলঙ্কার চেয়ে কম নয়। শ্রীলঙ্কার মতো মেগাপ্রজেক্ট (বড় প্রকল্প) করে বাংলাদেশ মেগা লুটপাট চলছে। সেই মেগা দুর্নীতিকে হালাল করার জন্য ঢাকঢোল পিটিয়ে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে রিজার্ভ কত আছে, তা মানুষ জানতে পারছে না। রিজার্ভ থেকে ঋণ নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। বাংলাদেশ রিজার্ভ থেকে ঋণ নিয়ে দেশ চালাচ্ছে। মেগাপ্রজেক্টে তারা তাদের দেনা পরিশোধ করছে। কিন্তু সেটা হিসাবে আনা হচ্ছে না। এটাকে রিজার্ভ দেখিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে হিসাব মিলিয়ে দিচ্ছে। তারপর এখন অঙ্ক মেলাতে পারছে না। যদি তাদের রিজার্ভের গল্প সত্য হয়ে থাকে, তাহলে কেন লিকুইড গ্যাস আনতে পারছে না? কেন ব্যাংকগুলোয় এলসি করতে গেলে এলসি করতে পারছে না?

খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার মানুষকে না জানিয়ে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়েছে শুধু নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। ঋণ পরিশোধের সময় এসে গেছে এবং তখনই ধরা পড়ে যাবে, সরকার ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। একদিকে ঋণ দিতে পারছে না, অন্যদিকে আমদানি করতে পারছে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, 'বাংলাদেশে শুধু লুটপাটের রাজনীতির জন্য আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা বিপর্যয়ের মুখে। কেন? এই বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায়, তারা যেহেতু গণতান্ত্রিক নয়, তারা যেহেতু গায়ের জোরে ক্ষমতায়, দিনের ভোট রাতে করার সরকার, তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। '

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সত্যিকার বুদ্ধিজীবী হওয়া কঠিন কাজ। ভেতর থেকে যারা সমাজের জন্য দায়-দায়িত্ব অনুভব করবেন, তারাই হচ্ছেন বুদ্ধিজীবী। বিএনপি কোনো দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে যাবে না―এটা বলার সাথে সাথে যে বিশাল দায়িত্ব এসে যায় তা বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বাত্মক আন্দোলন।

তিনি আরো বলেন, এ আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপ হতে হবে সুস্পষ্ট পরিষ্কার এবং চিন্তাভাবনা করে। একদিকে যেমন এখানে কোনো অ্যাডভেঞ্চারের স্থান নেই; তেমনি সুযোগ নেওয়ারও স্থান নেই। দেশের যে শাসক দল তারা ফ্যাসিস্ট―এটা অনেকেরই মূল্যায়ন। কিন্তু দেখা গেছে এই ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অত্যন্ত কঠিন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'এই সরকার বিদ্যুৎ উৎসব করে বলে, লোড শেডিংকে আমরা জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন জাদুঘরে যাওয়ার সময় এসেছে তার (সরকারের)। সরকার একটার পর একটা মিথ্যা কথা বলে চলেছে, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার এখনই সময়। '

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, 'রাষ্ট্র বলে আসলে কিছু নেই। যে রাষ্ট্র অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদকে মিথ্যা মামলা দিতে পারে, সে রকম একটা রাষ্ট্রে আমরা বসবাস করছি। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat