×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৬
  • ৪০১ বার পঠিত
রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালানো সত্ত্বেও তাদের তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। 


আল জাজিরা জানিয়েছে, সৌদি আরব নিজেদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য অন্য সময় যে পরিমাণ তেল কেনে, সেই তুলনায় এখন রাশিয়ার কাছ থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ তেল কিনেছে।

রাশিয়ার তেল ও জ্বালানির ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে তাদের গ্রাহকের সংখ্যা কমে যায়। এরপর রাশিয়া ডিসকাউন্ট মূল্যে তেল বিক্রি করা শুরু করে।

রাশিয়ার এসব জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে গ্রীষ্মের চাহিদা মেটায় সৌদি আরব। অন্যদিকে নিজেদের অপরিশোধিত তেল বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানি করে থাকে তারা। 

সৌদি আরব নিজেও বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশ। বিশ্বে অপরিশোধিত ক্রুড তেলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব৷ কিন্তু গত তিন মাসে দেশটি নিজেই রাশিয়ার কাছ থেকে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দুই গুণ বেশি তেল আমদানি করেছে।

রেফিনিটিভ এইকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ‘শিপ ট্র্যাকিং ডেটা' বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে দেখা যাচ্ছে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মস্কোর কাছ থেকে ছয় লাখ ৪৭ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানি করেছে রিয়াদ। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল তিন লাখ ২০ হাজার৷ ২০২১ সালে সৌদি আরবে মোট তেল আমদানির পরিমাণ ছিল সাড়ে ১০ লাখ ৫০ হাজার টন।

কেন তেল কিনছে সৌদি আরব?

বিশ্বের জ্বালানি তেলের বাজারে সৌদি আরব সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্ত্বেও গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া থেকে দেশটি তেল আমদানি করে৷ মূলতঃ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য পরিশোধিত তেল কেনে তারা। এতে নিজেদের তেল পরিশোধন করতে হয় না বরং নিজেদের উৎপাদিত অপরিশোধিত ক্রুড বিশ্ব বাজারে অপেক্ষাকৃত বেশি দামে বিক্রি করে।

চলতি বছর গ্রীষ্মে তীব্র গরমে সৌদি আরবে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়৷ বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তাই জ্বালানি তেলের আমদানিও বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভারটেক্স।

প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে জুনে দৈনিক তিন লাখ ২০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে সৌদি যা ২০২০ সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ।

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাশিয়া থেকে সৌদি আরবের তেল আমদানির পরিসংখ্যান নিয়ে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় রয়টার্সের কাছে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat