মশার উৎস খুঁজতে দশ দিনব্যাপী ড্রোনের মাধ্যমে চিরুনি অভিযান শুরু ডিএনসিসি। শনিবার (২ জুলাই) থেকে মশার উৎস খুঁজতে দশ দিনব্যাপী ড্রোনের মাধ্যমে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। ১১ জুলাই পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
শনিবার সকাল থেকে ডিএনসিসির অঞ্চল-১, অঞ্চল-৩ ও অঞ্চল-৫ এ ড্রোনের সাহায্যে বিভিন্ন বাসাবাড়ির ছাদের ছাদ বাগান, ছাদে জমা পানি, চৌবাচ্চা এবং বৃষ্টির পানি বা পরিষ্কার পানি জমতে পারে এ ধরনের স্থান এবং পাত্র সার্ভে করা হয়।
অঞ্চল-১ এর আওতাধীন উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় মোট ৩২২টি বাড়িতে ড্রোন সার্ভে করা হয়। ১৮টি ছাদ বাগান সার্ভে করে ০৫টিতে জমা পানি পাওয়া গেছে এবং ১টি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। বাড়ির মালিককে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন এলাকায় মোট ২৯১টি বাড়িতে ড্রোন সার্ভে করা হয়। ২৫টি ছাদ বাগান সার্ভে করে ৩টিতে জমা পানি পাওয়া গেছে, তবে লার্ভা পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন লালমাটিয়া এলাকায় মোট ২৬৭টি বাড়িতে ড্রোন সার্ভে করা হয়। ১২টি ছাদ বাগান সার্ভে করে ৪টিতে জমা পানি পাওয়া গেছে, তবে লার্ভা পাওয়া যায়নি।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, অঞ্চল-৩ ও ৫ এর ড্রোনের সাহায্যে পরিচালিত সার্ভে কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক অঞ্চল-৫ লালমাটিয়া এলাকায় সার্ভে কার্যক্রম পরিচালনার সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে মশার উৎস খুঁজতে দশ দিনব্যাপী ড্রোনের মাধ্যমে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এ জাতীয় আরো খবর..