রাজধানীর খুচরা বাজারে এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৫ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন ভারত থেকে আমদানি বন্ধের অজুহাতে আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতারা কারসাজি করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। কিন্তু দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই।
মূলত কুরবানির ঈদ ঘিরে অতি মুনাফা করতে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে অন্যান্য পণ্যের মধ্যে ক্রেতাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি কিনতে বাড়তি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তাই ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে আজ থেকে পেঁয়াজের পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় কোনো ধরনের অনিয়মের প্রমাণ মিললে জরিমানার পাশাপাশি আড়ত ও দোকান সিলগালাসহ কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৩৪-৩৫ টাকা। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, যা এক মাস আগে ৩৫-৪০ টাকা ছিল।
এ ছাড়া খুচরা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬২ টাকা, যা এক মাস আগে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, পেঁয়াজসহ সব ধরনের পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। ঈদ ঘিরে পণ্য কিনতে গিয়ে ভোক্তারা যাতে স্বস্তি পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
তাছাড়া পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আজ (বুধবার) থেকে তদারকি করা হবে। তদারকির সময় আড়ত ও খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম যাচাই করা হবে। কি দামে কিনে এনে কি দরে বিক্রি হচ্ছে তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে। এ সময় পাকা রশিদ দেখা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে অসাধুদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। জরিমানার পাশাপাশি দরকার হলে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হবে। তিনি জানান ভোক্তাকে ঠকালে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..