দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট—উয়েফা নেশনস লিগে এই হলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের অবস্থা। তবে খানিকটা উন্নতি যে হয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। গত সপ্তাহে ডেনমার্কের কাছে ২-১ গোলের হারে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ফ্রান্স।
কাল রাতে ক্রোয়েশিয়ার স্পিলিতে পলুদ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে দিদিয়ের দেশমের দল। ফ্রান্সের মতো একই পথে আছে ক্রোয়াটরাও। গত সপ্তাহে অস্ট্রিয়ার কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর কাল পয়েন্টের মুখ দেখেছে লুকা মদরিচের দেশ।
রিয়ালের হয়ে মৌসুমে ৪৪ গোলের পর ফ্রান্সের জার্সিতে ষষ্ঠ গোল বেনজেমার। মৌসুমে ৫০ গোল হয়ে গেল তাঁর
ক্রোয়েশিয়া-ফ্রান্স মুখোমুখি হওয়া মানে অনেকের কাছেই ২০১৮ বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরে আসা। মাঝে এই নেশনস লিগেই দুই দল দুবার মুখোমুখি হয়েছে। প্রতিবারই বিজয়ী দলটির নাম ফ্রান্স। দেশম দল নিয়েও বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।
ডেনমার্ক ম্যাচের দল থেকে ১০টি পরিবর্তন এনে একাদশ সাজান ফ্রান্স কোচ। কিলিয়ান এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমাকে মাঠে নামাননি। বাবার মৃত্যুর কারণে ডেনিশদের বিপক্ষে ম্যাচে ডাগ আউটে ছিলেন না দেশম। এই ম্যাচ দিয়ে কোচ ডাগ আউটে ফিরলেও খেলার ফলে সন্তুষ্ট হওয়ার কথা নয়।
উইসাম বেন ইয়েদেরের পাস থেকে ৫২ মিনিটে রাবিওঁর গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৭ মিনিট আগে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। ফরাসি রাইটব্যাক জোনাথন ক্লস বক্সে ফাউল করে বসেন বদলি হয়ে নামা আন্দ্রেই ক্রামারিককে। অফসাইড ভেবে রেফারি প্রথমে পেনাল্টির দাবি নাকচ করে দিলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) হস্তক্ষেপে পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া।
স্পটকিক থেকে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান ক্রামারিক। দেশের হয়ে ১৫০তম ম্যাচ খেলতে নামা মদরিচ এর আগেই মাঠ ছেড়েছেন।
ম্যাচ শেষে ফ্রান্স কোচ দেশম বলেছেন, ‘এগিয়ে যাওয়ার পর আমরা আরও গোল পেতে পারতাম। কিন্তু সমতাসূচক গোল উপহার দেওয়াটা দুঃখজনক। পারফরম্যান্স একেবারে খারাপ না, বিরতির পর ওরা সেভাবে আক্রমণ করতে পারেনি। ফলটাও সন্তোষজনক নয়। তবে এটা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হলেও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
একই রাতে ভিয়েনায় আর্নেস্ত হ্যাপেল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারায় ডেনমার্ক। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৯০ মিনিট দেরিতে শুরু হওয়া এ ম্যাচের ৮৪ মিনিটে জেনস স্ট্রাইগার লারসনের গোলে জয় তুলে নেয় ডেনিশরা।
‘এ’ গ্রুপে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ডেনমার্ক। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অস্ট্রিয়া এবং ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ফ্রান্স। সমান পয়েন্ট পেলেও ফ্রান্সের সঙ্গে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে চারে ক্রোয়েশিয়া।
এ জাতীয় আরো খবর..