কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রলবোমা মেরে হত্যার মামলায় নিয়মিত জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সাত বছর আগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় খালেদা জিয়া আগে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার নিয়মিত জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলায় তিনি অন্তর্বর্তী জামিনে আছেন। রুল যথাযথ ঘোষণা করায় সে জামিনটিই এখন নিয়মিত হলো।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, “জামিনসংক্রান্ত জমে থাকা পুরনো মামলা নিষ্পত্তি করতে সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি বেঞ্চও তিনি গঠন করে দিয়েছিলেন। সেসব বেঞ্চে জামিনসংক্রান্ত প্রচুর মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার মামলাটিও নিষ্পত্তি করেছেন আদালত। সাধারণত জামিনের অপব্যবহারের অভিযোগ না থাকলে জামিন নিয়মিত করে রুলটি যথাযথ ঘোষণা করা হয়। ”
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়া হলে আগুনে পুড়ে আট যাত্রী মারা যান। আহত হন আরো ২৭ জন। সে ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। পরে পুলিশের আবেদনে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলা দায়েরের দুই বছর এক মাস পর তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. ইব্রাহিম। এর মধ্যে দুর্নীতির দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সাজা নিয়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে কুমিল্লার বিশেষ আদালতে এ মামলায় জামিন চান খালেদা জিয়া। কিন্তু কুমিল্লার আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে সে বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পরে ২০১৯ সালের ৬ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দেন। সঙ্গে নিয়মিত জামিন প্রশ্নে রুলও দেওয়া হয়। সেই রুলটিই যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।
এ জাতীয় আরো খবর..