×
  • প্রকাশিত : ২০২৫-১২-০২
  • ২৯ বার পঠিত

জানা গেছে, চুক্তির আগে শুধু একটি আঞ্চলিক সংগঠন থাকলেও গত ২৮ বছরে নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কোন্দলের ফলে নতুন করে আবির্ভাব হয়েছে আরো পাঁচটি সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠনের। বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলায় ছয়টি আঞ্চলিক সংগঠনের সশস্ত্র তত্পরতা রয়েছে। সেগুলো হলো সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস, তাদের বিরোধী সংস্কারপন্থি পিসিজেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ, প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ), তাদের বিরোধী গ্রুপ ইউপিপিডিএফ গণতান্ত্রিক, মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি) ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এসব সংগঠনের সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে প্রতিনিয়তই ঘটছে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘাত। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে একাধিক গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। ফলে পাহাড়ে আজো অশান্তির বাতাস বইছে। ২৮ বছরে এসব সশস্ত্র গ্রুপের তত্পরতায় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে শতাধিক। অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনা তো নিত্যদিনের।

১৯৯৭ সালের এই দিনে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন তত্কালীন গেরিলা সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যুগ যুগ ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘাত বন্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনাই ছিল চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু তা অর্জিত হয়নি।

অনেকটা আক্ষেপের সুরে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী এন্টিনা চাকমা বলেন, ‘চুক্তির অধিকাংশ ধারাই এখনো অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে। এখনো এই চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। আন্দোলন করতে হচ্ছে।’ শুধু এন্টিনা চাকমা নন, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষের কাছে চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে আছে এমন ক্ষোভ, হতাশা আর অবিশ্বাস। তবে আশার কথা হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির হাত ধরে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য অঞ্চলে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প। বিশেষ করে শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবা আর পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। অর্থনৈতিক ভাবেও এসেছে সমৃদ্ধি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat