তিনি বলেন, দেশে এমন একটি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে যেখানে পেশিশক্তির ওপর ভিত্তি করে বহু অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়। অথচ তাদের দাবি ছিল শুধু সময়। যাতে নতুন পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতির সুযোগ পায় এবং পুরোনো পরীক্ষার্থীদের তুলনায় প্রতিযোগিতায় বৈষম্যে না পড়েন।
লিখিত পরীক্ষার রুটিন নিয়ে তিনি বলেন, পুরোনো পরীক্ষার্থীরা মাত্র তিন মাস আগে আরেকটি লিখিত পরীক্ষা দিয়ে এসেছেন। ফলে তারা প্রস্তুত থাকতে পারেন। কিন্তু নতুন পরীক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এটিকে ‘বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
এ-সময় সাইফ মুরাদ অভিযোগ করেন, তাদের আন্দোলনের সময় ৪০–৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কারও মাথায় ১০ টিরও বেশি সেলাই লেগেছে। আহত অবস্থায় পরীক্ষায় বসা অসম্ভব হলেও পিএসসি বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধিই খোঁজ নেননি বলে দাবি তার।
তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক কোনো স্লোগান দিইনি। আমরা শুধু ন্যায্য প্রতিযোগিতার সুযোগ চেয়েছি। কিন্তু পিএসসির চেয়ারম্যান নিজের রোডম্যাপের জেদে পরীক্ষাটা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন।
অপরদিকে, এখন পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। কমিশন জানিয়েছে, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামীকাল ২৭ নভেম্বরই শুরু হবে।
দেশের ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ—এই আটটি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পদ–সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় পরীক্ষা শুধুমাত্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়েছে





