হামলার শিকার আহত বাউলরা হলেন- মকলেস, আলামিন হোসেন ও বাবুল বাউলা সানোয়ার হোসেন। পুলিশ জানায়, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, গতকাল থেকে জেলার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যবহারকারীরা ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ব্যানারে বাউল সাধকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার বাউল সম্রাট আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজনের কথা ছিল।
হামলার সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বাউল সাধকরা এসে আদালত প্রাঙ্গণে সমবেত হচ্ছিলেন। এ সময় একদল লোক তাদের ওপর হঠাৎ হামলা চালায়। বাউলরা দিকভ্রান্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শী মাহাবুব আলম রুবেল বলেন, ‘কয়েকজন বাউল প্রাণে বাঁচতে জেলা আইনজীবী সমিতির ভিতরে আশ্রয় নেন। তবুও হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ‘আল্লাহ্ হুয়াকবর’ স্লোগান দিতে দিতে শো-ডাউন করেন। আদালত প্রাঙ্গণের মতো নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানে এমন হামলা জাতির জন্য নিরাপত্তাজনিত হুমকি। আমরা এমন নৈরাজ্য কখনও প্রত্যাশা করিনি। বাউলরা নিরীহ ও সংলঘু। তারা শুধু তাদের বক্তব্য রাখতে সমবেত হয়েছিল। রাস্তায় নামার আগেই তাদের ওপর অতর্কিত হামলা সমাজের জন্য ভয়াবহ দৃষ্টান্ত। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ারে আলম খান বলেন, ‘বাউল সাধকদের চৌরাস্তায় একটি কর্মসূচি ছিল। পুলিশ আগে থেকে অবস্থান নিয়েছিল যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বাউল আদালত প্রাঙ্গণের চায়ের দোকানে অবস্থান করছিলেন। তখন এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’