জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে জনজীবনে কী প্রভাব পড়ছে তার মূল্যায়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, মূল্যায়নের ভিত্তিতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের সঙ্গে অর্থনীতির সম্পর্ক ওতপ্রতোভাবে জড়িত।
তাই জ্বালানির দাম বাড়লে পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি বা মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা থাকে। ’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মানুষ দুঃসময়ে পড়ে গেছে। গরিব মানুষের জন্য সরকার কাজ করছে। সরকার সবার জন্যই। কিন্তু গরিব মানুষের জন্য প্রণোদনাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ রয়েছে। জনগণকে সহযোগিতা করা ও তাদের ভালোভাবে রাখা সরকারের দায়িত্ব। সেই কাজটি সরকার করে যাচ্ছে এবং করে যাবে। দুঃসময় কেটে যাবে বলে আশা করি।
তিনি বলেন, সরকার গরিবদের জন্য ওএমএস এবং টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তবে নতুন করে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা থেকে গরিব মানুষকে সুরক্ষা দিতে আরো কী সহায়তা দেওয়া যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডলারের দাম শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ডলারের দাম বৃদ্ধি একটা বৈশ্বিক সংকট। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের দেশে দেশে বাড়ছে ডলারের দাম। যারা যুদ্ধ করছে তাদেরও বাড়ছে, যারা যুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন তাদেরও বাড়ছে। বাংলাদেশেও তার প্রভাব আছে। তবে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। শিগগিরই ডলারের দাম স্বাভাবিক হবে। ’