×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৫
  • ৫৭ বার পঠিত
করোনাভাইরাসের সনদ জালিয়াতি ও চিকিৎসার নামে প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের জামিন দেননি হাইকোর্ট। তার জামিন চেয়ে করা আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি উল্লেখ করে খারিজ করা হয়েছে।  

বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

আর জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুহাম্মদ মাসুদ-উল-হক।
আইন কর্মকর্তা সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সনদ জালিয়াতির মামলায় গত বছর ৩১ মার্চ নিম্ন আদালতে সাহেদের জামিন আবেদন খারিজ হয়েছিল। হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী নিম্ন আদালতের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করতে হলে ৬০ দিনের মধ্যে হলফনামা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর হলফনামার ৪৫ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন হাইকোর্ট বেঞ্চে সেটি উপস্থাপন করে শুনানি করতে হবে। গত বছর জুনে এ জামিন আবেদনটি একটি বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়েছিল। পরে অক্টোবরে আবার হলফনামা করার পর এই বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয় শুনানির জন্য। মেয়াদহীন আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন। '

তবে সাহেদের আইনজীবীর ভাষ্য, মেয়াদ না থাকায় আবেদনটি তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কালের কণ্ঠকে এ আইনজীবী বলেন, 'গত বছরের ২১ অক্টোবর হলফনামা করার পর আবেদনটি শুনানিতে আনতে পারিনি। আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আদালত নতুন আবেদন নিয়ে আসতে বলেছেন। ফলে এই আবেদনটি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। ' 

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে ২০২০ সালের ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন র‍্যাব-১-এর পরিদর্শক জুলহাস মিয়া।  

মামলায় বলা হয়, কোনো রোগী প্রতারণার কথা বুঝতে পেরে প্রতিবাদ করলে হুমকি দিতেন মোহাম্মদ সাহেদ। বিনা মূল্যে চিকিৎসার নিয়ম থাকলেও প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা করে নেওয়া হতো।  

দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪১৭, ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭১ ও ২৬৯ ধারা উল্লেখ করে মামলার এজাহারে বলা হয়, কভিড-১৯ রোগীদের টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে প্রতারণা, বিশ্বাস ভঙ্গ জাল-জালিয়াতি, ভুয়া রিপোর্ট তৈরি, ভুয়া রিপোর্টকে খাঁটি বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কভিড-১৯ রোগ সংক্রমণের বিস্তারে ভূমিকা রাখার অপরাধ করেছেন আসামিরা।  

মামলায় প্রতারণার শিকার ১০ জন রোগীর নাম উল্লেখ করে র‌্যাব। গত ২৯ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার অভিযোগ পত্র দিলেও মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া এখনো পর্যন্ত শুরু হয়নি। এ মামলায় গত বছর ৩১ মার্চ জামিন আবেদন খারিজ হলে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন সাহেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat