বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, বেকারত্বের কারণে দেশের মানুষ অন্ধকার দেখছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, 'বেকারত্বের কারণে মানুষ অন্ধকার দেখছে। শিক্ষিত যুবকদের চাকরি নেই।
তারপর ভয়ংকর মুদ্রাস্ফীতি। এই মুদ্রাস্ফীতি চরম পর্যায়ে চলে গেলে মধ্যম-নিম্ন আয়ের মানুষ এখন যে টাকা দিয়ে জিনিসপত্র বা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনে তখন তার চেয়ে ডাবল টাকা লাগবে। অর্থাৎ আগে যদি তার আয় থেকে এক কেজি চাল কিন্তু এখন কিনবে হাফ কেজি। '
রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনা আপনি এটা জানেন? আপনার আত্মীয়-স্বজন নেতাকর্মীরা প্রতিবছর হাজার লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, এ কারণেই মুদ্রাস্ফীতি। আপনি কিন্তু প্রকারান্তরে সেটা স্বীকার করেছেন। আপনি বলেছেন, টাকা যদি ফেরত নিয়ে এসে বিনিয়োগ করা হয় তাহলে তাকে ধরা হবে না। অথচ বিএনপির লোক কবরে থাকলেও মামলা হয়। হজে থাকলেও মামলা হয়। আর যারা টাকা পাচার করবে আর আপনি ধরবেন না, এটা হয় না। '
তিনি আরো বলেন, সাধারণ জনগণের সমর্থনে ধন্য নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি ক্ষমতায় থাকতেন, তিনি আজ বন্দি। আর যারা অন্যায়-অবিচার করে দিনের ভোট রাতে করেছে, গুম খুন এমন কোনো অবৈধ পন্থা নেই যে তারা ব্যবহার করেনি, এমন একজন নেত্রীর নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতায় তারা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
রিজভী বলেন, 'এই সরকার সকল সরকারি অফিসকে আওয়ামী লীগের কার্যালয় বানিয়েছে। আমি আগেও বলেছিলাম এই নির্বাচন কমিশন হচ্ছে আওয়ামী লীগের কিচেন কমিশন। এটা আবার প্রমাণিত হলো, এরা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মতো কাজ করছে। এ কারণেই আওয়ামী লীগের অধীনে সকল নির্বাচন বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে। '
তিনি বলেন, 'কুমিল্লার সিটি নির্বাচন বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই এলাকার একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছে। সেটা নিয়ে অভিযোগ জানালে নির্বাচন কমিশন বলেছে একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে কি টেনে-হিঁচড়ে বের করা যায়? এতেই বোঝা যায় এই নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার একেবারে রান্নাঘরের কমিশন। আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই করবে আর নির্বাচন কমিশন পাহারা দেবে, সেই দায়িত্ব নিয়েছে তারা। এ কারণেই বিএনপি আওয়ামী লীগের অধীনে সকল নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। '
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
এ জাতীয় আরো খবর..