অগণতান্ত্রিক পন্থা পরিহার করে জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে ফিরে আসতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা একাধিকবার গণ-অভ্যুত্থান ও গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল তাদের মুখে গণঅভ্যুত্থানের কথা মানায় না। আজ বুধবার (১ জুন) এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত বিএনপি মহাসচিবের চিরাচরিত মিথ্যাচার ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে এ আহবান জানান।
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের অপচেষ্টা না করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে বিএনপির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অন্যথায় বরাবরের মতো আবারও জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেন।
গণধিকৃত ও গণশত্রুরা রাজনীতির মাঠে জনগণের কল্যাণে কখনো কিছুই করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে বলেন, গণবিরোধী এসব শক্তির স্বরূপ জাতির সামনে ইতিমধ্যেই উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণকে এই অশুভ শক্তির ছায়া থেকে দূরে রাখতে চাই।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশে তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করে থাকেন এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনীতি করার লাইসেন্স প্রদানের পাশাপাশি প্যাড সর্বস্ব রাজনৈতিক দল ও দলছুট রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজও বিএনপি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও দলছুট নেতাদের নিয়ে তথাকথিত বহুদলীয় প্লাটফর্ম তৈরি করার পাঁয়তারা করছে।
দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বকে মুক্ত করার নামে তথাকথিত আন্দোলনের এই প্লাটফর্ম মূলত দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার প্লাটফর্ম বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সরকার সুনির্দিষ্ট কোন মামলা ছাড়া কাউকে আটক করে রাখে নাই এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর বলেই গ্রেনেডের বিপরীতে গ্রেনেড ব্যবহার করননি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের তাঁর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে তাঁর নিজের বাসায় রেখে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অথচ বিএনপি সরাসরি আইন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন প্লাটফর্ম তৈরির পাঁয়তারা করছে। যা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে জনগণ মনে করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..