পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করায় বিএনপির বুকে বিষজ্বালা উপচে পড়ছে। তবু পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াত দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের যৌথ সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু মানেই শেখ হাসিনা।
তাঁর সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু। শত মিথ্যাচারের পরও পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি ছিলেন হিমালয়ের মতো অটল। এটি নিয়ে এখনো বিএনপি অবিরাম মিথ্যাচার করছে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ছাত্রদলকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু সব কিছুর শেষ আছে। বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে লাভ হবে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার তাদের সহযোগিতা করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠ থেকে সরে যায়, তাহলে যথাসময়েই নির্বাচন হবে। কারো জন্য অপেক্ষা করা হবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, থাকবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে, রাজপথে জবাব দেবে আওয়ামী লীগ।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন ও মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুর সবুরসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..