×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৫-২৭
  • ৬৭ বার পঠিত
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনূসসহ যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন, বিভিন্ন সময় অনেক বড় বড় কথা বলেছেন, বিশ্বমন্দা করোনা নিয়ে নসিহত করেছেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর এখন তাদের মুখে আর কোনো কথা নেই। কক্সবাজারে জেলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।  

সেতু বিরোধীদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বিএনপিরই নয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে সিপিডি, টিআইবি এবং আরো যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, তাদেরও গাত্রদাহ হচ্ছে। আমি আমার চেয়ে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি গভীর সম্মান রেখেই বলছি, তিনি নিজেও হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি লিখেছিলেন, যাতে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করে, সেই অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন।


তিনি বলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা সমস্ত ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছেন, পদ্মা সেতু শুধু আমাদের গর্বের সেতু নয়, শুধু পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ সেতুই নয়, পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশ, আমাদের জনগণ ও সরকারের সক্ষমতার প্রতীক। সমস্ত ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে যে এটি করা যায়, তা প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন। এ সময় পদ্মা সেতুর সমালোচক বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের বিষয়েও কথা বলেন মন্ত্রী।  

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণার পর সারা দেশে বিশৃঙ্খলার পেছনে তারেক রহমানের হাত রয়েছে কি না ও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, এমনকি হাইকোর্টের সামনে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সামনেও বহিরাগত ও সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এগুলোর পেছনে নিশ্চয়ই তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাত রয়েছে।   

আমাদের কাছে যতটুকু খবর আছে, তারেক রহমান সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় যত সন্ত্রাসী আছে, তাদেরকে ফোন করে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বলেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীদেরকেও বলব জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে। ’ 
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারেক রহমান দুর্নীতি ও গ্রেনেড হামলার দায়ে একজন সাজাপ্রাপ্ত, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দণ্ড কার্যকর করার জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বুঝতে ব্যর্থ বিএনপি। অথচ বেগম জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর জন্য জনগণই দাবি তুলেছে।

কক্সবাজারের রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ডেপুটি কমিশনার মো. মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat