বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় দুই দেশের নৌবাহিনী জাহাজের অংশগ্রহণে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে যৌথ টহল ‘করপ্যাট’ ও দ্বিপক্ষীয় মহড়া ‘বঙ্গোসাগর’। কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের তত্ত্বাবধানে এই যৌথ টহল ও মহড়া গত ২২ মে শুরু হয়েছে। চলবে ২৭ মে পর্যন্ত। যৌথ এ টহল ও মহড়ায় অংশ নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কোরা এবং আইএনএস সুমেধা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ বানৌজা আলী হায়দার এবং বানৌজা আবু উবাইদাহ অংশ নিচ্ছে।
আইএসপিআর জানায়, যৌথ টহল শেষে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ দুটি মঙ্গলবার মোংলা বন্দর জেটিতে এসে পৌঁছয়। এ সময় জাহাজ দুটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদক দল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করে অভিবাদন জানায়।
কমান্ডার খুলনা নৌ অঞ্চলের পক্ষ থেকে বানৌজা মোংলা ঘাটির অধিনায়ক জাহাজ দুটিকে মোংলা বন্দরে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমান্ডার প্রদীপ কুমারের নেতৃত্বে ১৪ জন কর্মকর্তা ও ১২১ জন নাবিক নিয়ে আইএনএস কোরা এবং কমান্ডার সুমিত মালিকের নেতৃত্বে ১২ জন কর্মকর্তা ও ১১০ জন নাবিক নিয়ে আইএনএস সুমেধা এ টহল ও মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুতপূর্ণ সুসম্পর্ক আরো জোরদার করার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে এই যৌথ টহল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দুই দেশের নির্ধারিত সমুদ্র এলাকায় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, চোরাচালান, মানবপাচার, জলদস্যুতা, মাদকপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনের লক্ষ্যে এ যৌথ টহল ও মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এটি দুই দেশের নিজ নিজ জলসীমায় সমুদ্রবিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান, তথ্যাদির সঠিক ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রপথে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনাকারী জাহাজসমূহ চিহ্নিতকরণ ও বিভিন্ন অপরাধ নিরসনকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা, সমুদ্র নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবেলা ও সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।
শুভেচ্ছা সফরের অংশ হিসেবে ভারতীয় জাহাজ দুটির কর্মকর্তা ও নৌ সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। শুভেচ্ছা সফর শেষে আগামী ২৬ ও ২৭ মে বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিতব্য যৌথ মহড়া ‘বঙ্গোসাগর’-এ অংশগ্রহণ শেষে জাহাজ দুটি ২৭ মে নিজ দেশে ফিরবে।
এ জাতীয় আরো খবর..