পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সব সময় মানবতার জয়গান গেয়েছেন। তিনি ছিলেন একটি ইনস্টিটিউশন এবং বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গলই তাঁর চিন্তার খোরাক ছিল।

শনিবার বিকেলে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চন্দ্রাবতী প্রকাশনী আয়োজিত স্মরণসভা ও আলোকচিত্র গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, 'অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আমাদের সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে কাজ করেছেন এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তিনি পরিপূর্ণভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

তাঁর প্রয়াণ আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তিনি বেঁচে থাকলে আমরা তাঁর কাছে মানবকল্যাণের আরো অনেক কিছু আমরা শিখতে পারতাম। '

ড. মোমেন বলেন, 'অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চলে গেলেও তাঁর সৃষ্টি রয়ে গেছে। তাঁর সৃষ্টির মধ্যেই তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। ' তাঁর শিক্ষা এবং তাঁর স্বকীয় চিন্তা-চেতনা বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের দুর্লভ ছবিগুলো নিয়ে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ নামে চন্দ্রাবতী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আলোকচিত্র গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য দেন।

সুরের ধারার চেয়ারম্যান সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্মৃতিচারণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কবি-শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ আলোকচিত্র গ্রন্থের সম্পাদক কবি মারুফুল ইসলাম এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল খায়ের লিটু।