নতুন সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে সরকার ঘোষিত এক হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিলের সুবিধা ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিয়ে শতাধিক হল মালিক ও উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগ দেওয়া শতাধিক সিনেমা হল মালিকদের সাথে আলোচনা করেন তিনি।
পরে তিনি বলেন, সহজ শর্তে এই ঋণে প্রতি জেলা ও উপজেলায় সিনেপ্লেক্স ও হল নির্মাণের মাধ্যমে আগামী দেড়-দুই বছরের মধ্যে সারা দেশে কয়েক শ সিনেমা হল চালু হওয়া সম্ভব। আমরা চাই আমাদের সিনেমা শিল্প বিশ্ব অঙ্গণে জায়গা করে নেবে।
চলচ্চিত্রকে সংস্কৃতির বিশাল এক অনুসঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্র তথা সিনেমা হলের বিকাশ সমাজকে বিপথগামিতা থেকে রক্ষায় সহায়ক। তরুণ সমাজকে মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রেও সিনেমা শিল্প বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
সভায় সিনেমা হল মালিকবৃন্দ সহজ শর্তে এক হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠনকে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, হল পরিচালনার স্বার্থে দেশে সিনেমার মান উন্নয়ন ও সংখ্যাবৃদ্ধির পাশাপাশি শতকরা অন্তত বিশ ভাগ হিন্দি সিনেমা আমদানি করা বিশেষ প্রয়োজন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, ইউসিবি, মেঘনা, বিডিবিএল ও ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক সিনেমা হলের মালিক ও আগ্রহী উদ্যোক্তাবৃন্দ সভায় অংশ নেন।
সভার শুরুতে হল মালিকদের পক্ষ থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস মন্ত্রী ও সচিবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এ জাতীয় আরো খবর..