স্টাফ রিপোর্টার : পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে স্ত্রী ও চার মাসের সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করলো পাষণ্ড স্বামী। নির্মম এই ঘটনার সাতদিন পর গতকাল ঘাতক স্বামী সোলেমান হোসেনকে (৩৫) হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডির কাছে স্ত্রী-সন্তান হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় সোলেমান। আজ দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর। তিনি জানান, গত ৩রা জানুয়ারি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার মধুপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে খালেদা আক্তার পিংকি (২৫) ও তার চার মাস বয়সী মেয়ে সালমা আক্তার জান্নাতের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পিংকির বাবা আব্দুল খালেক দুলাল বাদী হয়ে রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট এলাকা থেকে একমাত্র আসামি সোলেমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারের পর সোলেমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় সে স্ত্রী-সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করে। মুক্তা ধর বলেন, সোলেমান আগে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৩ সালে তার সঙ্গে পিংকির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি গ্রামের বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাদের সংসারে ফারিয়া সুলতানা (৫) ও চার মাস বয়সী সালমা আক্তার জান্নাত দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেয়ায় গত ৩০শে ডিসেম্বর স্ত্রী ও চার মাস বয়সী শিশু সন্তানকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে সে। এরপর মরদেহ কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে মেঝেতে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় সোলেমান। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।
এ জাতীয় আরো খবর..