×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-২২
  • ৯৩ বার পঠিত
বন্যপ্রাণী খাঁচায় বন্দি না করা ও তথাকথিত চিড়িয়াখানা বন্ধে তিন দিনের প্রতীকী কর্মসূচি সম্পন্ন করতে জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় আমাকে সমর্থন দিতে প্রায় শ তিনেক মানুষের সমাগম হলে নিরাপত্তা বাহিনী আমাকে অনুরোধ করেন কর্মসূচি বন্ধ করতে...।  

প্রকৃতির স্বার্থে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রকৃতিকে ভালোবেসে আমাকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। প্রকৃতির স্বার্থে যদি আবার দরকার হয় প্রত্যাশা আমি সবাইকে কাছে পাব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এভাবেই নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন হোসেন সোহেল। পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক।

এর আগে, চিড়িয়াখানা ও খাঁচায় আটক প্রাণীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে নিজেকেই খাঁচায় বন্দি করে ‘মুক্তি চাই’ ব্যানারে অভিনব তিন দিনব্যাপী প্রতীকী আন্দোলন শুরু করেন পরিবেশকর্মী, সাংবাদিক হোসেন সোহেল।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই আন্দোলন শুরু করেন তিনি।

মূলত খাঁচায় আটক প্রাণীরা কেমন কষ্ট ভোগ করে সেটার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিতে এবং ‘বন্যেরা বনে সুন্দর’ এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে খাঁচার ভেতর আটক থেকে এই প্রতীকী আন্দোলন করেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে আমি খাঁচায় বন্দি হয়েছি নিজেকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এবং খাঁচায় প্রাণীরা কেমন কষ্ট ভোগ করে সেটার ন্যূনতম একটা অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। আমি তিন দিন খাঁচার মধ্যে থেকে এই অভিজ্ঞতা নেব। ’

তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিনের একটি পদ্ধতি আমি একা পরিবর্তন করতে পারব না। তাই লড়াইটা আমার নিজের সঙ্গে নিজের। এখানে সরকার, রাজনীতি, সংগঠন, সংস্থা, ব্যক্তি কেউ জড়িত না। আমিও যন্ত্রণা নিতে চাই যেভাবে খাঁচায় বন্দি প্রাণীরা যন্ত্রণা পায়। আপনারা সকলে গালি-অপবাদ দিন, আমি হেরে যাব না। যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন, আমাকে ভালোবাসেন তারা মাথায় হাত রাখবেন। যেন তিন দিন টিকে থাকতে পারি। মুক্ত হোক সকল খাঁচাবন্দি প্রাণী। ’

বাংলাদেশে চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাকে ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ উল্লেখ করে এই ব্যবস্থার বিলুপ্তি দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খাঁচার মধ্যে প্রাণ বা প্রকৃতিকে আটকে রাখা যাবে না। বনের পশুপাখিকে বনে ছেড়ে দিতে হবে। তাদেরকে মুক্ত হতে দিতে হবে। সেই সঙ্গে চিড়িয়াখানার যে ধারণাটি আছে সেটার চরম বিরোধিতা করছি আমি। বাংলাদেশে চিড়িয়াখানার ধারণাটি বাতিল ঘোষণা করতে হবে। কেননা খাঁচার মধ্যে আটক করে প্রাণীদের নিষ্ঠুর নির্যাতন ছাড়া আর কিছুই করা হয় না। ’ 

এ সময় তার সঙ্গে ‘বন্য প্রাণীকে খাঁচায় নয়, বনে যেতে দাও’, ‘চিড়িয়াখানা বন্ধ কর, বন্য প্রাণী মুক্ত কর’, ‘বনাঞ্চল বাঁচাও, বন্য প্রাণী বাঁচাও’ এসব স্লোগান দেখা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat