ডিজেল, পেট্রলসহ জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। কেন ওই প্রজ্ঞাপনটি আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের রিটে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রুল দেন। জ্বালানি সচিব, উপসচিব ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদসচিব, আইনসচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩-এর বিধান অনুযায়ী গণশুনানি করে জ্বালানির দাম বাড়ানোর কথা। কিন্তু সরকার আইনটির ২২ এবং ধারা ৩৪-এর ৩, ৬ উপধারা লঙ্ঘন করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। এ দাম বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সংবিধানের ১৫, ৩১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে সরকার। ’
বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে আদালতের আদেশ বিবাদীদের কাছে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম বাড়িয়ে গত ৫ আগস্ট বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের খনিজ সম্পদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়। এই দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ৪২ শতাংশ। লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করা হয়। অকটেনের দাম বেড়েছে ৮৯ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা। অর্থাৎ পেট্রল ও অকটেনের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশেরও বেশি। গত শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ভোক্তা পর্যায়ে নতুন এই মূল্য কার্যকর করা হয়।
রিটে বলা হয়েছে, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই অবৈধভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তাতে আইনের লঙ্ঘন হয়েছে। এই আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি মানুষের দৈনন্দিন ও পারিবারিক জীবনযাপনে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।
এ জাতীয় আরো খবর..