×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-১০
  • ৮৪ বার পঠিত
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের সম্পদের অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের রিট আবেদনটির শুনানি মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি রেখে রিট আবেদনকারীকে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করতে বলেছেন। এ সময়ের মধ্যে দুদক ব্যবস্থা না নিলে ওই দিন রিট আবেদনটিতে শুনানি হতে পারে।  

রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বুধবার এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে।

এর আগে ওসি মনিরুলের অবৈধ সম্পদ ও দখল নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বুধবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন আইনজীবী সুমন। রিটে ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।

সেই সঙ্গে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্তি দখল, অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে তার অবহেলা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে রুল চাওয়া হয় রিটে। এতে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার ও ওসি মনিরুলকে বিবাদী করা হয়।

গত ৫ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে তাঁর আরো চারটি প্লট রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগও তুলে আনা হয়েছে প্রতিবেদনে। গত সোমবার প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনলে সুমনকে আবেদন নিয়ে আসতে বলা হয়।

রিটের শুনানিতে আবেদনকারী আইনজীবী প্রকাশিত প্রতিবেদনটির কিছু অংশ পড়ে শুনিয়ে বলেন, ‘একজন ওসি ঢাকায় আট তলা বাড়ি বানাতেই পারেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখল ও অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের তদন্ত হয়ে বিষয়টির সুরাহা না হলে সৎ পুলিশ কর্মকর্তারা নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন। ’ 

এসব অভিযোগের বিষয়ে দুদকে আবেদন করা হয়েছে কি না, আদালত রিটকারী আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলে সুমন বলেন, ‘তা করা হয়নি। তবে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত দুদকের প্রতি নির্দেশনা দিতে পারেন। ’ তখন আদালত বলেন, এভাবে চলতে পারে না। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। সব কিছুর জবাবদিহি থাকতে হবে।

শুনানির এক পর্যায়ে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানের কাছে আদালত জানতে চান, ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদক কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না? জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘দুদককে বিষয়টি জানিয়েছি যে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হয়েছে। তখন কমিশন বলেছে, দেখি আদালত কী আদেশ দেন। ’ 

এদিকে ওসি মনিরুলের আইনজীবী বলেছেন, ‘প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে। সেটি এখনো ছাপানো হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে তো প্রতিকার চাওয়ার অধিকার আছে। ’

এরপর আইনজীবী সুমনকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘আপনার মনোভাবের সঙ্গে আমরা শতভাগ একমত। তবে এ অভিযোগের বিষয়ে আগে দুদকে একটি আবেদন করুন। দুদক যদি ব্যবস্থা না নেয় বিষয়টা আমরা দেখব। আর রিটে আইজিপির প্রতি নির্দেশনা না চেয়ে নির্দেশনাটা দুদকের প্রতি চান। ’ এরপর রিট শুনানি আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat